কসবা উপজেলার বিনাউটি ইউনিয়নের রাউৎহাট গ্রামে ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে ঋষি সম্প্রদায়ের বাড়িঘরে ব্যাপক ভাংচুর ও লুট করেছে দুর্বৃত্তরা। বিয়ে বাড়িতে বরকেও হেনস্তা করে তারা। এ ঘটনায় পুলিশ এসে রাতভর অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত জহরলাল ঋষি বাদী হয়ে ১৬ জনকে আসামি করে কসবা থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চান্দাইসার গ্রামের খলিল মিয়ার ছেলে মাসুক (২৫), নেমতাবাদ গ্রামের মোতাহারের ছেলে জুয়েল (২২) এবং একই গ্রামের আবু কাউছারের ছেলে তানবীর (২৫)। গ্রেপ্তারকৃতদের গতকাল সকালে ব্রাহ্মণবাড়িয়া বিচারিক হাকিমের আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ। আদালত তাদেরকে জেলহাজতে প্রেরণ করেন।
মামলার এজাহার, পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শুক্রবার বিকেলে উপজেলার রাউৎহাট গ্রামের ঋষি সম্প্রদায় জহরলাল ঋষির ছেলে হুমায়ুন ঋষি বিয়ে অনুষ্ঠানে বরযাত্রী নিয়ে যাওয়ার সময় একই বাড়ির বরযাত্রী চন্দনী ঋষি (১৪) সুন্দরী ঋষি (১৫) রাস্তার পাশে মাইক্রোবাসের সামনে দাঁড়ায়। এ সময় পার্শ্ববর্তী হাজীপুর গ্রামের মোখলেছ মিয়ার ছেলে রাব্বি মিয়া (২৫)সহ কয়েকজন ওই দুই কিশোরীকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে উত্ত্যক্ত করে।
এ ঘটনায় কিশোরীর বড় ভাই রায়মন ঋষিসহ ওই পাড়ার লোকজন প্রতিবাদ করলে উভয়ের মাঝে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে সংঘর্ষ বাধে। পরে ইভটিজিংকারী রাব্বী মিয়া ফোনে এবং জুয়েল মিয়া এ খবর ছড়িয়ে দিলে পার্শ্ববর্তী হাজীপুর, নেমতাবাদ-মনিচং ও চান্দাইসার গ্রামের কতিপয় যুবক এনে মোখলেছ মিয়ার ছেলে রাব্বির নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা করে বাড়িঘর ভাংচুর ও লুটপাট চালায়। এমনকি বরকেও এরা মারধর করে স্বর্ণালংকার লুট করে নেয়। এ ঘটনায় ঋষি সম্প্রদায়ের ৪ জন আহত হয়। এতে গুরুতর আহত অবস্থায় রায়মন ঋষি (২৫) কে কসবা হাসপাতালে নিয়ে এলে চিকিৎসকের পরামর্শে ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর আহত বিনধিনি ঋষি (৬০) জহর লাল ঋষি (৬০) শয়নতারা ঋষি (৫০) কে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
কসবা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মহিউদ্দিন বলেন, ঋষি পরিবারের বিয়ের যাত্রী যাওয়ার দুই কিশোরীর ইভটিজিংকে কেন্দ্র করে ঘটনার সূত্রপাত। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।