ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ আসনের উপ-নির্বাচনে নৌকার পরিবর্তে লাঙ্গলের জন্য ভোট চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে নাসিরনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এটিএম মনিরুজ্জামান সরকারের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে গতকাল ছাত্রলীগের এক সভায় তোপের মুখে পড়েন মনিরুজ্জামান। এ ঘটনায় দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে পুলিশ মোতায়েন করা হয় নাসিরনগর সদরে। গতকাল সকাল ১১টার দিকে দলের অস্থায়ী অফিসে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের নিয়ে বৈঠকে বসেন আওয়ামী লীগ দলীয় প্রার্থী বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম। আলোচনার একপর্যায়ে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এটিএম মনিরুজ্জামান সরকার, সাংগঠনিক সম্পাদক লিয়াকত আব্বাস টিপু, যুবলীগের সভাপতি অঞ্জন কুমার দেবসহ কয়েকজন নেতা সেখানে যান। মনিরুজ্জামানকে দেখেই ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে লাঙ্গল প্রতীকে ভোট চাওয়ার অভিযোগ তোলেন। এতে মনিরুজ্জামান ক্ষিপ্ত হয়ে উঠেন। তখন লাঙ্গলের পক্ষে তার প্রচারণার ভিডিও চিত্র আছে বলেও জানান কেউ কেউ।
এ নিয়ে বাকবিতণ্ডা ধস্তাধস্তির পর্যায়ে চলে যায়। এরপর মনিরুজ্জামান অফিস ছেড়ে যান এবং নৌকা প্রতীক কীভাবে বিজয়ী হয় তা দেখে নেবার হুমকি দেন। মনিরুজ্জামান পরে তার নিজ ইউনিয়ন বুড়িশ্বরে গিয়ে মাইকিং করে এলাকার লোকজনকে নাসিরনগর সদরে আসার জন্য বলেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। মনিরুজ্জামান সরকার উপ-নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন। নাসিরনগর সহিংসতার (২০১৬ সালে সংগঠিত) পূর্বাপর প্রয়াত মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী এবং এ আসন থেকে পাঁচ বার নির্বাচিত সংসদ সদস্য ছায়েদুল হক বিরোধী অবস্থানের কারণে আলোচিত হয়ে ওঠেন মনিরুজ্জামান।