গাইবান্ধার গোবিন্দগঞ্জে অবৈধ গর্ভপাত ঘটানোর সময় মারা গেছেন জয়নবী খাতুন নামের এক এসএসসি পরীক্ষার্থী। সে উপজেলার দরবস্ত ইউনিয়নের গোশাইপুর গ্রামের জবেদ আলীর কন্যা। এ ঘটনায় তালুককানুপুর ইউনিয়নের সমসপাড়া বাচ্চু মিয়া নামের এক কবিরাজকে আটক করেছে পলিশ। গোবিন্দগঞ্জ থানার ওসি মজিবুর রহমান জানান, গোসাইপুর গ্রামের মাদ্রাসা ছাত্র সাদেকুল ইসলামের সাথে নিহত এসএসসি পরীক্ষার্থীর প্রেম গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভনে সাদেকুল জয়নবীর সাথে শারীরিক সম্পর্ক গড়ে তোলে। অবৈধ সম্পর্কের জেরে স্কুলছাত্রী জয়নবী গর্ভধারণ করেন। বিষয়টি জানাজানি হলে সাদেকুল ইসলাম তার প্রেমিকের গর্ভের সন্তান নষ্ট করতে সাদেকুল পরবর্তীতে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি ফাঁস হয়। শুক্রবার দুপুরে জয়নবীর বাড়িতে তাকে কবিরাজি ঔষধ খাওয়ানো হয়। ওষুধ দিয়ে গর্ভপাত ঘটানোর চেষ্টা করা হলে সে অসুস্থ হয়ে পড়তে থাকে।
এক পর্যায়ে সন্ধ্যার দিকে জয়নবী মারা যায়। মৃত্যুর পর ওই ঘাতক প্রেমিক মাদ্রাসা ছাত্র সাদেকুল প্রেমিকের আত্মীয়স্বজনদের সহযোগিতায় রাতে দাফন কাফন করার চেষ্টা করেন। পরে এলাকার লোকজন মৃত্যুর রহশ্যজনক মনে করে লাশ দাফনে বাধা দেয়। এসময় প্রেমিক সাদেকুল লাশ ফেলে সটকে পড়ে । গ্রামবাসী পুলিশকে বিষয়টি জানালে গোবিন্দগঞ্জ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশ নিয়ে আসেন থানায়। শনিবার সকালে ময়নাতদন্তের জন্য লাশ গাইবান্ধা আধুনিক হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়। থানায় এ ব্যাপারে মামলা হয়েছে। শনিবার দুপুরে ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে বাচ্চু মিয়া নামের এক কবিরাজকে আটক করা হয়েছে।