× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ঢাকা বোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ না হওয়ার নেপথ্যে

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, রবিবার

আড়াই মাসে নিয়োগ হয়নি ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান। গত ৮ই জানুয়ারি প্রফেসর মাহাবুবুর রহমানকে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক পদে নিয়োগ দেয়ার পর থেকেই চেয়ারম্যান পদটি ফাঁকা। বর্তমানে চেয়ারম্যানের চলতি দায়িত্ব পালন করছেন বোর্ডের সচিব (সহযোগী অধ্যাপক) শাহেদুল খবীর চৌধুরী। কর্মকর্তারা বলছেন, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান না থাকাই প্রশ্নফাঁসসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যায় পড়ছেন অন্যান্য বোর্ডগুলো। এই বোর্ড আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের সমন্বয়কের দায়িত্ব পালন করেন। কিন্তু চেয়ারম্যান না থাকায় সিদ্ধান্ত নিতে পারছেন না। জেএসসি, এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষা, পরীক্ষার ফল, একাদশে ভর্তিসহ বিভিন্ন সিদ্ধান্ত  আন্তঃবোর্ডের বৈঠকে চূড়ান্ত হয়। পদাধিকার বলে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান এসব বৈঠকের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন।
শুধু চেয়ারম্যান নয়, বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক পদাধিকার বলে আন্তঃবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকের দায়িত্বে থাকেন। কিন্তু আড়াই মাসেও ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান নিয়োগ না হওয়ায় চরম জটিলতা তৈরি হয়েছে। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষায় বড় ধরনের পরিবর্তন আসছে শিক্ষামন্ত্রীর এমন কথা বাস্তবভিত্তি তৈরি করতে পারছে না বোর্ডগুলো। এছাড়া এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ ও পরবর্তীতে অনলাইনে সারা দেশে একাদশ শ্রেণির ভর্তির মতো কঠিন কাজের সমন্বয় করতে হবে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডকে। এই কঠিন সময় বোর্ডের চেয়ারম্যান না থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে অন্য বোর্ডগুলো।

একাধিক বোর্ডের চেয়ারম্যান জানান, এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময় বোর্ড চেয়ারম্যানদের আন্তঃবোর্ড সভায় ডাকা হয়। এতে আমরা বিব্রত হয়ে অনুপস্থিত থাকি। জুনিয়র শাহেদুল খবীরের সঙ্গে  বৈঠক করতে অনীহা প্রকাশ করে আন্তঃবোর্ড সভায় অন্য বোর্ডগুলোর সচিব ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রকদের পাঠায় চেয়ারম্যানরা। সেখানেও শাহেদুল খবীরের সঙ্গে বৈঠক নিয়ে প্রশ্ন তুলেন বরিশাল বোর্ডের একজন কর্মকর্তা। এটি নিয়ে এক বৈঠকে তর্কে জড়িয়ে পড়ে এই দুইজন। পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত ছাড়াই বৈঠক শেষ হয়।
কর্মকর্তারা জানান, চেয়ারম্যান নিয়োগ না হওয়ার নেপথ্যে কাজ করছেন বোর্ডের সচিব শাহেদুল খবীর চৌধুরী। আসন্ন এইচএসসি পরীক্ষা পর্যন্ত এ পদটি আঁকড়ে রেখে তাদের পছন্দের কিছু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের কেন্দ্র নিশ্চিত করতে চান। এসব কেন্দ্রের বিরুদ্ধে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় প্রশ্নফাঁস করার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার দুর্নীতি ও নানা অনিয়মের দায়ে বোর্ড থেকে সাতজনকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়েছে। তাদের অধিকাংশ ৮ থেকে ১০ বছর ধরে বোর্ডের খুঁটি গেড়ে বসে ছিলেন। কিন্তু বোর্ডের সিন্ডিকেটের মূল হোতা বোর্ডের সচিব শাহেদুল খবীর ও পরীক্ষা নিয়ন্ত্রককে না সরানোয় বদলির উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। তবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানান, একসঙ্গে সবাইকে বদলি করলে বোর্ড ফাঁকা হয়ে যায়। আর সচিব যেহেতু বোর্ডের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন শত শত অভিযোগ থাকার পরও তাকে বদলি করা হয়নি। তবে নতুন চেয়ারম্যান নিয়োগ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে শাহেদুল খবীর ও তপন কুমার সরকারকে সরিয়ে দেয়া হচ্ছে।

গত বৃহস্পতিবার শিক্ষা ক্যাডারের ২৩ জন প্রভাবশালী কর্মকর্তাকে ঢাকার বাইরে বদলি করা হয়। এরমধ্যে ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের ৭ জন ছিলেন। তারা হলেন কলেজ পরিদর্শন আশফাকুস সালেহীন, স্কুল পরিদর্শক এ টি এম মঈনুল হোসেন, সহকারী কলেজ পরিদর্শক ও শিক্ষামন্ত্রীর সাবেক এপিএস মন্মথ রঞ্জন বাড়ৈ, উপ-পরিচালক ফজলে এলাহী, উপ-সচিব মোহাম্মদ নাজমুল হক, উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মাসুদা বেগম, এবং উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অদ্বৈত কুমার রায়। তারা সবাই বাড়ৈ ও শাহেদুল খবীর সিন্ডিকেটের কর্মকর্তা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর