গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়ে এই সরকারের পতন করা হবে বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষেরও ধৈর্যের সীমা রয়েছে। আমাদের এই শান্তিপ্রিয় আন্দোলন পর্যায়ক্রমে গণআন্দোলনে রূপ নেবে। অতীতে এমনই হয়েছে। স্বৈরাচারী সরকাররা কখনো ইচ্ছাকৃতভাবে যায় না। গণঅভ্যুত্থানের মধ্যদিয়েই তাদের পতন ঘটাতে হয়েছে। এবারো তাই হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর্মজীবী দল আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
মাহবুব হোসেন বলেন, আজকে যদি আমরা মিছিল করতাম, হরতাল দিতাম তাহলে সরকারি বাহিনী মিছিলে ঢুকে গাড়ি পোড়াতো, পেট্রোল বোমা মারত। অতীতে তারা এমনটিই করেছে। খন্দকার মাহবুব বলেন, আমরা অত্যন্ত সচেতনভাবে দেশে যাতে অরাজক পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় তাই শান্তিপূর্ণভাবে আন্দোলন করে যাচ্ছি। এর অর্থ এই নয় যে বিএনপির আন্দোলন করার ক্ষমতা নেই। আমরা অত্যন্ত ধৈর্য সহকারে আন্দোলনে আছি, থাকব। সরকারের কোনো প্রকার ফাঁদে পা দেব না। বিএনপির সিনিয়র এই নেতা বলেন, আমাদের নেত্রী খালেদা জিয়াকে সাজা দেয়া হয়েছে। আমার মনে হয় এই সাজা সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন। আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় এসে প্রোপাগান্ডা ছড়িয়েছে খালেদা জিয়া নাকি এতিমের টাকা মেরে খেয়েছে, দুর্নীতি করেছে। পরে আদালত রায় দিয়েছেন। উচ্চ আদালতের প্রধান বিচারপতিকে ঘাড় ধরে তাড়িয়ে দেয়ার পর দেশে বিচার বিভাগ বলে কিছু থাকে না। স্বাভাবিকভাবেই নিম্ন আদালতগুলো সরকারের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। তবে আমাদের রাজপথে থাকতে হবে। রাস্তায় থাকতে হবে। তিনি বলেন, আমরা আমাদের দেশনেত্রীর মুক্তির পাশাপাশি ভোটের মুক্তি ও গণতন্ত্রের মুক্তি চাই। আমাদের নেত্রীর নির্দেশে আমরা রাজপথে আছি, আগামীতেও থাকব। নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, আগামীকাল জামিন আবেদন করা হবে। দেশে যদি আইনের শাসন থাকে তাহলে বেগম খালেদা জিয়া মুক্তি পাবেন, জামিন পাবেন। তিনি ফিরে এসে যেকোনো সময় যদি ডাক দিলে আমাদের রাস্তায় নামতে হবে। সেই রাস্তায় নামাটাই হবে শেষ নামা। যেদিন তিনি রাস্তায় নামার নির্দেশ দেবেন সেই দিনই এই সরকারের শেষ দিন হবে। আয়োজক সংগঠনের সহ-সভাপতি সালাউদ্দিন পিপিএম’র সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক আলতাফ হোসেন সরদারের সঞ্চালনায় সভায় আরো উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির শিশু বিষয়ক সম্পাদক আবুল কালাম সিদ্দিক, শিক্ষক নেতা জাকির হোসেন, দেশ বাঁচাও মানুষ বাঁচাও আন্দোলনেরর সভাপতি কেএম রকিবুল ইসলাম রিপন প্রমুখ।
, সংগঠনের নেতা হুমায়ুন কবির, মেজবাহ উদ্দিন, গাউসুর রহমান, ফিরোজ মাহমুদ প্রমুখ।