পুলিশ বাহিনীই এখন সরকার চালাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ। তিনি বলেছেন, এখন সরকার চালাচ্ছে পুলিশ বাহিনী। তাই সরকারের কাছে তাদের দলের চেয়ে পুলিশ বাহিনী বেশি গুরুত্বপূর্ণ। গতকাল দুপুরে জাতীয় প্রেস ক্লাবে বাংলাদেশ ইয়ূথ ফোরামের ১২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী পালন ও প্রতিবাদী যুব সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। মওদুদ আহমদ বলেন, আজকে বাংলাদেশকে অলমোস্ট একটা পুলিশি রাষ্ট্রে পরিণত করা হয়েছে। আমাদের শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি ছিল। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বললেন, শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে সরকার বাধা দেবে না। অথচ উনার বক্তব্যের পর আজ বাধা দেয়া হয়েছে। তার অর্থ দাঁড়ালো হয় উনার নেতৃত্বে, না হয় উনার কথার কোনো মূল্য নেই। উনি সত্য কথা বলেছেন। কিন্তু উনার কথা কার্যকর করার জন্য যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী রয়েছে তারা তা করেননি। উনি এক কথা বললেন আর আইজি করলেন আরেক কাজ। তাহলে মনে হয় সরকারের মধ্যে বিরাট একটি সমন্বয়হীনতা আছে। বিএনপির প্রবীণ এ নেতা বলেন, পুলিশ বাহিনী এই সরকার চালাচ্ছে। আওয়ামী লীগের কাছে এখন দলের চেয়ে পুলিশ বাহিনী বড় হওয়ায় তাদের মাধ্যমে এই কাজগুলো করাচ্ছে। অথচ পুলিশের দায়িত্ব-কর্তব্য হলো দেশের আইনশৃঙ্খলা দেখা, নিয়ন্ত্রণে রাখা। সেদিকে তারা চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে। তিনি বলেন, আমরা কোনো ধরনের সংঘর্ষে যেতে চাই না। আমাদের নেত্রী বলে গেছেন কোনো হটকারিতা চলবে না। সেজন্য আমাদের সমাবেশ করতে না দেয়ায় কালো পতাকা প্রদর্শন কর্মসূচি পালন করছিলাম। আমরা গাড়ি বা রাস্তা ব্লক করিনি। কোনো রকমের কোনো অনিয়ম করিনি। রাস্তায় দাঁড়িয়ে কালো পতাকা প্রদর্শন করতে চেয়েছি। এরকম একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতেও তারা বাধা দিয়েছে। বিএনপির এই আইনজীবী বলেন, পুলিশের এমন আচরণে আমি আশ্চর্য হব না। একই সঙ্গে আজকে লাঠি চার্জ, কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ ও জলকামান মারা হয়েছে। এতে আমাদের মহাসচিবসহ সবাই ভিজে গেছেন। একটি শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিতে যে সরকার এমন আচরণ করতে পারে তাদের কাছ থেকে আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন প্রত্যাশা করি না। সেই জন্যই আন্দোলন করতে হবে। নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে হবে এবং শান্তিপুর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারকে বাধ্য করা হবে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার গঠন করতে। আমরা সেই দিনের অপেক্ষায় থাকবো। আমাদের সবাইকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে, ধৈর্য ধারণ করতে হবে। সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ২০ দলীয় জোটের শরিক জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য আহসান হাবিব লিংকন, বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের রহমাতুল্লাহ, আয়োজক সংগঠনের সভাপতি মুহম্মদ সাইদুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল হক চৌধুরী প্রমুখ।