প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে কোনো পরীক্ষা বাতিল করা হচ্ছে না- এমন ইঙ্গিত দিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাদরাসা ও কারিগরি শিক্ষা বিভাগের সচিব  মো. আলমগীর বলেছেন, শিক্ষার্থীদের এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। শিক্ষার্থী   অভিভাবকরা উদ্বিগ্ন হবে- এমন কোনো সুপারিশ করা হবে না। গতকাল চলতি বছরের এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের বিষয়ে অভিযোগ সংক্রান্ত তথ্য যাচাইবাছাই কমিটির বৈঠক শেষে এসব কথা বলেন কমিটির আহ্বায়ক মো. আলমগীর। শিক্ষা, স্বরাষ্ট্র, জনপ্রশাসন ও ডাক ও টেলিযোগ মন্ত্রণালয়ের সমন্বয়ে গঠিত এই কমিটির তৃতীয় ও শেষ বৈঠক ছিল গতকাল। আজ কমিটির প্রতিবেদন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কাছে জমা দেয়ার কথা থাকলেও সেটি আরও দু-তিনদিন পিছিয়ে দেয়ার কথা জানান তিনি। বৈঠক শেষে সচিব বলেন, পরীক্ষার্থীদের ক্ষতি হয় এমন কোনো সুপারিশ করবেন না তারা। গণমাধ্যমে যে সংবাদ এসেছে সেগুলো পর্যালোচনা করেছি। তার সমর্থনে যে কাগজপত্র দরকার সেগুলো সংগ্রহ করতে বোর্ড, বিটিআরসি এবং পুলিশকে বলেছিলাম। তারা কিছু কিছু কাগজ আমাদের দেখিয়েছে। আরো কিছু কাগজ পুলিশের কাছে চেয়েছি। আজকেই শেষ মিটিং। সুপারিশগুলো গোপনীয়, আপনারা জানেন- সুপারিশ সব সময় গোপন থাকে। আমরা সরকারের কাছে সুপারিশ দেয়ার পর তারা পর্যালোচনা করবে। সরকারের সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত। পরীক্ষা বাতিলের কোনো সিদ্ধান্ত হয়েছে কি না-এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা শুধু এটুকু বলতে পারি ২০ লাখ শিক্ষার্থীর স্বার্থের কথা চিন্তা করেই সুপারিশ করবো, সরকারও স্বার্থের কথা চিন্তা করে সিদ্ধান্ত নেবে। এই শিক্ষার্থীরা কারা, এরা তো আমাদেরই সন্তান, আমাদের দেশের সন্তান। আমরা এমন কোনো সুপারিশ করবো না, যেটা তাদের জন্য ক্ষতি হবে। আর সরকারও এমন কোনো সিদ্ধান্ত নেবে না যাতে তাদের জন্য কষ্ট হয়। সবারটাই দেখতে হবে। গত ১৮ই ফেব্রুয়ারি দ্বিতীয় সভা শেষে মো. আলমগীর বলেছিলেন, একটি বিষয়ের পুরোপুরি এবং কয়েকটি বিষয়ের আংশিক প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। ওই বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা যেটা দেখেছি কোনো পরীক্ষায় ডিটেইলস ফাঁস হয়নি। গণমাধ্যমে যেটা এসেছে, আমরা দেখেছি কিছু কিছু অবজেকটিভ হয়েছে। এছাড়া আর হয়নি। পরীক্ষা বাতিলের সম্ভাবনা আছে কি না- এ বিষয়ে সচিব বলেন, এটা তো গোপন জিনিস। পরীক্ষা তো একটা না, ১২টা। অতএব ১২টির ১২ রকম সিদ্ধান্ত হতে পারে।