× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শোক-শ্রদ্ধায় পিলখানায় নিহতদের স্মরণ

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, সোমবার

শ্রদ্ধা নিবেদন ও পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে পিলখানা ট্র্যাজেডি দিবস পালন করা হয়েছে। গতকাল ট্র্যাজেডির ৯ম বার্ষিকীতে বিডিআর বিদ্রোহে শহীদ সেনা কর্মকর্তাদের কবরে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সকাল ৯টায় বনানী সামরিক কবরস্থানে শহীদদের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন প্রেসিডেন্টের পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মো. সরোয়ার হোসেন এবং প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে তার সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মিয়া মোহাম্মদ জয়নুল আবেদিন। এরপর শ্রদ্ধা নিবেদন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল  আবু বেলাল মোহাম্মদ শফিউল হক, নৌবাহিনীর প্রধান এডমিরাল নিজামউদ্দিন আহমেদ, বিমান বাহিনীর প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল আবু এসরার, বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন। এ সময় সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা শহীদদের প্রতি স্যালুট প্রদান করেন। পরে শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে দোয়া করা হয়। দেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কলঙ্কময় দিনগুলোর একটি ২৫শে ফেব্রুয়ারি। ২০০৯ সালের এদিনে পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে চালানো হয় হত্যাযজ্ঞ।
ওই বিডিআর বিদ্রোহে ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন নিহত হন। পিলখানায় সংঘটিত বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডে শহীদ ব্যক্তিদের স্মরণে নানা কর্মসূচি পালন করেছে বিজিবি। দিনের কর্মসূচিতে ছিল, পিলখানাসহ বিজিবি’র সব রিজিয়ন, সেক্টর, প্রতিষ্ঠান ও ইউনিটের ব্যবস্থাপনায় বাদ ফজর খতমে কোরআন, বিজিবির সব মসজিদে এবং বিওপি পর্যায়ে শহীদদের রুহের মাগফিরাত কামনা করে দোয়া ও মিলাদ মাহফিল। আজ সোমবার বাদ আসর পিলখানার বীরউত্তম ফজলুর রহমান খন্দকার মিলনায়তনে শহীদ ব্যক্তিদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রধান অতিথি থাকবেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। এ ছাড়া স্বরাষ্ট্র সচিব, বিজিবি মহাপরিচালক, শহীদ ব্যক্তিদের নিকটাত্মীয়রা, পিলখানায় কর্মরত সব কর্মকর্তা, জুনিয়র কর্মকর্তা, অন্যান্য পদবির সৈনিক ও বেসামরিক কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করবেন।
গতকাল সকালে বনানী কবরস্থানে পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে নিহতদের স্মরণে নির্মিত স্মৃতিস্তম্ভে দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধার্ঘ নিবেদন করেছে বিএনপি। দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সাবেক সেনাপ্রধান মাহবুবুর রহমানের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল সকাল সাড়ে ১০টায় পুষ্পমাল্য অর্পণ করে। প্রতিনিধি দলটি কারাবন্দি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। এ সময় নেতারা কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে নিহত সেনা কর্মকর্তাদের স্মৃতির প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানান। বিএনপির প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলের ভাইস চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, কল্যাণ পার্টির চেয়ারম্যান অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, অবসরপ্রাপ্ত বিমানবাহিনী প্রধান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল ফজলে ইলাহী আকবর, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল ইসহাক, অবসরপ্রাপ্ত কর্নেল মনিষ দেওয়ান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর মিজানুর রহমান, অবসরপ্রাপ্ত মেজর সারোয়ার হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত ও চেয়ারপারসনের প্রেস উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান। পরে সাংবাদিকদের কাছে মাহবুবুর রহমান বলেন, পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে হত্যার ঘটনা ছিল দেশি-বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ। ওই হত্যাযজ্ঞের পূর্ণাঙ্গ বিচার আজও হয়নি। বিস্ফোরক আইনে মামলার বিচারও ঝুলে আছে। তিনি ইতিহাসের নজিরবিহীন এই হত্যাকাণ্ডের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন। তিনি বলেন, আগামীতে ক্ষমতায় গেলে বিএনপি দিনটিকে শহীদ সেনা দিবস হিসেবে পালনের ব্যবস্থা করবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর