× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মানসম্পন্ন-সময়োপযোগী শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই: প্রধানমন্ত্রী

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১৮, সোমবার

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উচ্চশিক্ষার গুণগত মানোন্নয়নের ওপর গুরুত্ব আরোপ করে বলেছেন, বিশ্বায়নের এই যুগে বিশ্বের দরবারে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে হলে মানসম্পন্ন ও সময়োপযোগী উচ্চশিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। মানসম্পন্ন শিক্ষা এবং গবেষণার মাধ্যমে অর্জিত জ্ঞান, দক্ষতা এবং উদ্ভাবনী শক্তিই পারে সকল প্রতিকূলতা এবং প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে সভ্যতাকে উন্নত পর্যায়ে নিয়ে যেতে   গতকাল সকালে তেজগাঁওস্থ প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের শাপলা হলে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন প্রদত্ত ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৫ ও ২০১৬’ প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন তিনি।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) উদ্যোগে ‘প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক-২০১৫ ও ২০১৬’ প্রদান অনুষ্ঠানে এ বছর ২৬৫ জন কৃতী শিক্ষার্থীকে এই পদকে ভূষিত করা হয়। সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা স্ব-স্ব অনুষদে সর্বোচ্চ নম্বর বা সিজিপিএ অর্জনের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৫ সালের জন্য ১২৪ জন এবং ২০১৬ সালের জন্য ১৪১ শিক্ষার্থী এই পদক লাভ করেন। শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. সোহরাব হোসাইন অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তৃতা করেন।

ইউজিসি’র চেয়ারম্যান প্রফেসর আবদুল মান্নান অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন। এছাড়া পদকপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের শিক্ষার্থী রুবাইয়া জাবিন লতা এবং বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষার্থী নূর মোহাম্মদ অনুষ্ঠানে স্ব-স্ব অনুভূতি ব্যক্ত করেন। ইউজিসি’র সদস্য, প্রফেসর ড. দিল আফরোজা বেগম স্বাগত বক্তব্য দেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান মঞ্চে উপস্থিত ছিলেন।

প্রধানমন্ত্রী স্বর্ণপদক বিজয়ীদের উদ্দেশে বলেন, এতগুলো ছেলেমেয়ে আমাদের কাছ থেকে স্বর্ণপদক পেলো অর্থাৎ কত মেধা আমাদের দেশে রয়েছে। আমাদের ছেলেমেয়েরা পৃথিবীর অনেক দেশের থেকে মেধাবী বলে আমি বিশ্বাস করি।
সরকার প্রধান বলেন, শুধু এখানে মেধার বিকাশে সুযোগটা সৃষ্টি করে দেয়ার দরকার। মেধা ও মনন চর্চার একটি সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়া এবং সেটা করতে পারলে আমাদের ছেলেমেয়েরা যে, কত ভালো করতে পারে সেটা আমার জানা আছে। তিনি বলেন, আজকে ২৬৫ জনকে আমরা স্বর্ণপদক দিলাম। আমি সত্যিই খুব আনন্দিত। আর ২০১৬ সালের বেলায় আমি লক্ষ্য করলাম মেয়েদের সংখ্যাটা বেশ বেড়ে গেছে।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বলতেন একটি সমাজে নারী-পুরুষ সকলেরই সমান অধিকার থাকা উচিত, সবাইকেই সমান সুযোগ করে দিতে হবে। কাজেই আমরা সেটারই চেষ্টা করে যাচ্ছি।

তিনি বলেন, সবাই তো চলে গেছে আমরা দুই বোনই বেঁচে আছি। আমরা কখনই আমাদের সন্তানদের পড় পড় পড়- এভাবে বলি না, বরং বলি এটা তোমার পড়া এটা তোমাকে পড়তে হবে। নিজের গরজেই পড়তে হবে। দীর্ঘ সংগ্রামের পথ বেয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী এই স্বাধীনতা যেন ব্যর্থতায় পর্যবসিত না হয় তা নিশ্চিত করার জন্যও শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।

আজকের শিক্ষার্থীদের মধ্য থেকেই আগামীর কর্ণধার গড়ে উঠবে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, তোমরাই তো আমাদের সোনার ছেলেমেয়ে, তোমরাই সোনার বাংলা গড়ে তুলবে। সেটাই আমরা আশা করি। কারণ, বাংলাদেশকে আমরা চাচ্ছি ২০২১ সালের মধ্যে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করতে। আর ২০৪১ সালে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ার উন্নত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠা লাভ করবে। এই কাজটা করে দিতে হবে আজকের তোমরা যারা মেধাবী ছেলেমেয়ে আছো তাদের। এ সময় জাতির পিতা একটি যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গড়ে তোলার মধ্যদিয়ে স্বল্প আয়ের দেশকে যে পর্যায়ে রেখে যান সেখান থেকে এখন বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে গ্রাজুয়েশন লাভ করতে যাচ্ছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এখন আর কেউ আগের মতো আমাদের তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করতে পারবে না। কারণ, আমরা সেই জায়গাটায় পদার্পণের সক্ষমতা অর্জন করেছি। ইনশাআল্লাহ আগামী মার্র্চ মাসেই বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে মর্যাদা পাবে। অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক আব্দুল মান্নান জানান, দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে অনার্স সাবসিডিয়ারি কোর্সে ‘বাংলা ভাষা’ এবং ‘বাংলাদেশের অভ্যুদ্বয়ের ইতিহাস’ বিষয় দুটি পাঠ্য করার জন্য ইতিমধ্যেই উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর