বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে বের হওয়া সাম্প্রতিক উন্নয়নের এক অনন্য ঘটনা। এর আগে যারা এলডিসি থেকে বের হয়েছে তারা ছোট ছোট দেশ। তাদের উন্নয়ন ও জনসংখ্যা খুবই কম। আর বাংলাদেশের উত্তরণটি আরও একাধিক উত্তরণের সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে। যেটি বাংলাদেশকে এক নতুন মাত্রা এনে দেবে। আজ শনিবার গুলশানের একটি রেস্টুরেন্টে সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) আয়োজিত ‘বাংলাদেশ গ্র্যাজুয়েশন অব দ্য এলডিসি গ্রুপ’ শীর্ষক পাবলিক ডায়ালগে এসব কথা বলেন সংস্থাটির সম্মানিত ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য। ড. দেবপ্রিয় বলেন, আরো যারা এলডিসি থেকে বের হয়েছে তাদের প্রবৃদ্ধি ও বৈদেশিক বিনিয়োগে পতন ঘটেছে, রেমিটেন্সও কমেছে। বাংলাদেশ যখন এলডিসি থেকে বের হচ্ছে তখন বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক পরিস্থিতি অনুকূলে নয়।
এজন্য বাংলাদেশকে এলডিসি উত্তরণকালীন টেকসই অর্থনীতি ধরে রাখতে উত্তরণকালীন কৌশল নির্ধারণ করতে হবে। বাংলাদেশে বৈদেশিক প্রত্যক্ষ বিনিয়োগ বাড়াতে হবে। এজন্য বিশ্ববাজার প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে হলে উৎপাদনও বাড়াতে হবে এবং একই পণ্যে নির্ভর না করে পণ্যের বহুমূখীকরণ করতে হবে। তিনি আরো বলেন, এলডিসি থেকে বের হলে রেয়াতি সুদের সুযোগ হারাবে বাংলাদেশ। এজন্য নতুন উচ্চ সুদ মোকাবিলায় করণীয় ঠিক করতে হবে।
[এফএম]