× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পটিয়ায় ভাঙনের মুখে ৫০ পরিবার

বাংলারজমিন

মো. শাহাজাহান চৌধুরী, পটিয়া (চট্টগ্রাম) থেকে
১১ মার্চ ২০১৮, রবিবার

পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের করনখাইন এলাকায় একটি পরিবারের বসতভিটে খালের গর্ভে বিলীন হতে চলছে। খালের পাশে জুড়ে দেখা দিয়েছে বড় বড় ফাটল। ফাটলগুলো বেলা শেষে জোয়ার ভাটার স্রোতে ভেঙ্গে ভেঙ্গে পড়ছে। এ চিত্র কর্ণফুলী নদীর শাখা বোয়ালখালী-চানখালী খালের দক্ষিণ পাড়ের পটিয়া উপজেলার করনখাইন এলাকার। এতে পটিয়া উপজেলার ধলঘাট ইউনিয়নের করনখাইন গ্রামের প্রায় ৫০ পরিবারের লোকজন নির্ঘুম রাত খাটাচ্ছে। জোয়ার-ভাটার বোয়ালখালী খালের পানির স্রোতে তাদের এলাকার একে একে বসত ঘর ভেঙে পড়ছে।
গত ৭ বছরে অনেক বাড়িঘর ক্রমান্বয়ে বিলীন হয়ে যাওয়ায় বহু পরিবার বর্তমানে ভাড়া বাসা নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। অনন্ত ১৫টি পরিবার বিলীন হয়ে গেছে।
বর্তমানে ওই এলাকার আরো অর্ধশতাধিক পরিবারের নারী-পুরুষ ও শিশুরা ভাঙন আতঙ্কে রাতযাপন করছেন। সর্বশেষ পটিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের উপ-পাঠাগার সম্পাদক মো. মহিউদ্দিনের পৈতৃক ভিটের অর্ধেক জায়গা ও বসত ঘরের বেশির ভাগ অংশ খালে বিলীন হয়ে গেছে। পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরী তাদের দুর্দশার চিত্র পরিদর্শন করে গেছেন। আগামী বর্ষা মওসুমের আগে পানি উন্নয়ন বোর্ড কিংবা সরকারি কোন বরাদ্দ দিয়ে ভাঙন রোধ করা না গেলে করনখাইন গ্রাম পুরোটাই বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে এলাকাবাসী জানান।
সরেজমিন ঘুরে জানা গেছে, কর্ণফুলী নদীর শাখা খাল বোয়ালখালী খালটি পটিয়া উপজেলার চানখালী খালের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। খালের উত্তর পাড়ে বোয়ালখালী উপজেলার খিতাপচর ও দক্ষিণ পাড়ে রয়েছে পটিয়ার ধলঘাট ইউনিয়নের করনখাইন গ্রাম। খালের পাড়ে বর্তমানে করনখাইন গ্রামে অর্ধ শতাধিক বসতঘর রয়েছে। তার মধ্যে গত ৭ বছরে মো. নুরুচ্ছফা, মো. নুরুন্নবী, কবির আহমদ, নূর আহমদ, আমির হোসেন, মো. জাহাঙ্গীর, বদিউল আলম, তৌহিদুল আলম, মনির হোসেন, মো. ইদ্রিস, সুলতান আহমদ, নূর হোসেন, মো. জসিম, মো. জাকির, মো. আলী হোসেন, মো. শফি ও মো. দিদারুল আলমের বসতঘর খালের গর্ভে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি গ্রামবাসী সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ ও উপজেলা প্রশাসনকে জানানোর পরও ভাঙন রোধ করতে কোনো ব্যবস্থা নেননি। বর্তমানে তাদের গ্রামের অর্ধশতাধিক পরিবারের লোকজন নির্ঘুম রাত খাটাচ্ছেন। খাল পাড় এলাকার দিন মজুর বদিউল আলমের পরিবার খুবই ঝুঁকির মধ্যে বর্তমানে বসবাস করছে। যেকোনো মুহূর্তে তাদের বসতঘর খালে বিলীন হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
দিন মজুর বদিউল আলম, তার স্ত্রী ও ৩ কন্যাসন্তান নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন। ওই পরিবারটি পৈতৃক ভিটেমাটি হারালে তাদের ভাড়া বাসায় যাওয়া ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না। করনখাইন গ্রামের বাসিন্দা মো. ইউছুপ, মো. কামাল ও মো. আব্বাস জানিয়েছেন, গত ৭ বছর ধরে তাদের এলাকায় ভাঙন রোধে সরকারিভাবে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। স্থানীয় ইউপি মেম্বার মোহাম্মদ লোকমান জানিয়েছেন, বোয়ালখালী খালের দক্ষিণ পাড় ক্রমান্বয়ে ভাঙনের বিষয়টি পটিয়ার সংসদ সদস্যকে জানানো হয়েছে। কিন্ত কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেনি। ভাঙ্গনের বিষয়টি উপজেলা চেয়ারম্যান ও ইউপি চেয়ারম্যানকে লিখিতভাবে গ্রামবাসী জানিয়েছেন। তারা সরকারের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ধলঘাট ইউপি চেয়ারম্যান রণবীর ঘোষ টুটুন জানান, খালের ভাঙনে অনেক পরিবারের বসতভিটে বিলীন হয়ে গেছে। ভাঙন রোধে স্থানীয় সাংসদের কাছেও সহায়তা চাওয়া হয়েছে। এমপি মহোদয় ওখানে রাবার ড্যাম দ্বারা ভাঙন প্রতিরোধে ৫ কোটি টাকার একটি প্রকল্প দেয়ার কথা জানিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর