রংপুরে ভাবি সালেহা বেগম (৫০)কে কুপিয়ে হত্যা করেছে দেবর নুর আলম। গতকাল শনিবার দুপুরে গঙ্গাচড়া উপজেলার মৌভাষা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ নুর আলমকে না পেয়ে তার স্ত্রী আফরোজাকে আটক করেছে। পুলিশ ও এলাকাবাসী জানায়, দেবর নুর মিয়ার মেয়ের মিথ্যা অপবাদ নিয়ে মৌভাষা গ্রামের মঞ্জুদ আলীর স্ত্রী সালেহা বেগমের সঙ্গে কথাকাটাকাটির এক পর্যায়ে দেবর বুলবুল লাল মিয়া বাবলু ও নুর আলম স্ত্রীর সহযোগিতায় কুড়াল দিয়ে মাথায় গুরুতর আঘাত করে। এ সময় সালেহা বেগমের দুই পুত্র দুলাল ও সাজু মাকে বাঁচাতে আসলে তারাও গুরুতর জখম হয়ে রংপুর মেডিকেলে ভর্তি হন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মা সালেহা বেগমকে আনার পর তার মৃত্যু হয়। দুলাল ও সাজুর অবস্থা আশঙ্কাজনক। গঙ্গাচড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিয়ার রহমান জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে দেবর নুর আলমের স্ত্রী আফরোজাকে ঘটনাস্থল থেকে আটক করা হয়। সালেহা বেগমের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। একটি হত্যা মামলা হয়েছে। এদিকে অপর একটি পৃথক হত্যা ঘটনা ঘটেছে রংপুর নগরীর বুড়িরহাট চব্বিশ হাজারী এলাকায়। গৃহবধূ জান্নাতুল ফেরদৌসী (১৯)কে পিটিয়ে হত্যা করেছে তার স্বামী। পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠায়। এলাকাবাসী জানায়, পঞ্চগড়ের দেবীগঞ্জের খারিজাভাজনী গ্রামের বাবু মিয়ার কন্যা জান্নাতুল ফেরদৌসীর সঙ্গে রংপুর নগরীর বুড়িরহাট চব্বিশ হাজারীর ওয়াসিম মিয়ার পুত্র আলেফের সঙ্গে ৮ মাস আগে বিয়ে হয়। আলেফ মিয়ার আগের বউ ও সন্তান থাকতে তিনি গোপনে এ বিয়ে করেন। পরে তার স্ত্রী জানতে পেরে এ ব্যাপারে স্বামীকে জিজ্ঞাসা করলে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে ফেরদৌসীকে পিটিয়ে লাশ সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যা বলে চালায়। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। কোতোয়ালি থানার ওসি বাবুল মিয়া বলেন, আপাতত ইউডি মামলা হিসেবে গ্রহণ করা হলেও ময়নাতদন্ত শেষে এটি হত্যা মামলা হিসেবে নেয়া হবে।