× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ৯ মে ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ২৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১ জিলক্বদ ১৪৪৫ হিঃ

আনু মুহাম্মদ /রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবনের জন্য মরণ কামড়

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১১ মার্চ ২০১৮, রবিবার

‘সুন্দরবন বিধ্বংসী রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র বাতিল কর’- স্লোগানকে সামনে রেখে তেল-গ্যাস-খনিজ সম্পদ ও বিদ্যুৎ-বন্দর রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে খুলনা প্রেস ক্লাবের হুমায়ুন কবির বালু মিলনায়তনে উপকূলীয় কনভেনশন অনুষ্ঠিত হয়। কনভেনশনে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় অধ্যাপক আনু মুহাম্মদ বলেন, এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে, রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র সুন্দরবন ও এ অঞ্চলের পরিবেশের জন্য মরণ কামড়। এমনিতেই জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণসহ মনুষ্যসৃষ্ট বিভিন্ন কারণে সুন্দরবন ও এ অঞ্চলের নদী-খাল-জলাশয়-বন-কৃষি-মৎস্য প্রভৃতি সর্বোপরি পরিবেশ হুমকির মুখে। তার ওপর রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হবে মড়ার উপর খাঁড়ার ঘা। শুধু পরিবেশ ও সুন্দরবনই নয় এ প্রকল্প জাতীয় স্বার্থবিরোধীও বটে। কারণ সরকার ভারতের সঙ্গে যে চুক্তি করেছে তা আত্মঘাতী ও লোকসানজনক।
রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র হলে এ অঞ্চলের মানুষ বিদ্যুৎ পাবে সরকারের এমন প্রচারের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি একটি ডাহা অপপ্রচার। কারণ সব বিদ্যুৎ প্ল্যান্টের উৎপাদিত বিদ্যুৎই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হয়।
সেখান থেকেই বিদ্যুৎ বণ্টন হয়। সুতরাং এ অঞ্চলের মানুষের বিশেষ কোনো সুবিধা পাওয়ার সুযোগ নেই। রামপাল তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রকে ধরে যে সর্বনাশা শিল্প এলাকা গড়ে ওঠার ধুম পড়েছে তাতে কিছু লোকের আপতদৃষ্টে কর্মসংস্থান হবে বলে মনে হলেও এর ফলে যে ক্ষতি হবে তাতে এ অঞ্চল থেকে ৪০-৫০ লাখ মানুষ তাদের কর্মসংস্থান হারাবে। তার পরেও জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সকল প্রতিবাদ অগ্রাহ্য করে রামপালে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণের কাজ অব্যাহত রেখেছে। সরকার ইতোপূর্বে জাতীয় পরিবেশ কমিটির বৈঠকে সুন্দরবন সংলগ্ন এলাকায় ৩২০টি গ্রুপকে কারখানা স্থাপন করার অনুমতি দেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর বেশির ভাগই সুন্দরবনের ১০ কিলোমিটার এলাকার মধ্যে। সরকারের তথাকথিত উন্নয়ন মডেল জনগণের গলার ফাঁসে পরিণত হয়েছে। সব ফ্যাসিবাদী তৎপরতা মোকাবিলা করে এ লড়াইয়ে জয় ভিন্ন জনগণের আর বিকল্প নেই এবং জনগণ জয়যুক্ত হবেই বলেও তিনি উল্লেখ করেন। শুক্রবার বিকেলে নগরীর সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ সব কথা বলেন। জাতীয় কমিটির খুলনা জেলা শাখার আহ্বায়ক এসএ রশিদের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব মোস্তফা খালিদ খসরুর সঞ্চালনায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিপিবির কেন্দ্রীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন, ইউসিএলবির কেন্দ্রীয় সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য রণজিৎ চট্টোপাধ্যায়, সিপিবির কেন্দ্রীয় সদস্য ও খুলনা জেলা সভাপতি ডা. মনোজ দাশ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য মনিরুল হক বাচ্চু, সিপিবির বরিশাল জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট এ কে আজাদ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর