রাজধানীর তেজগাঁওয়ের পশ্চিম নাখালপাড়া এলাকায় আমেনা বেগম হত্যার ঘটনায় গত তিন দিনেও কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। নিহতের পরিবার পুলিশের কাছে সুনির্দিষ্টভাবে অভিযোগ না করার কারণে খুনের ক্লু বের করতে বেগ পেতে হচ্ছে পুলিশকে। তবে, পুলিশের তদন্তকারী দল খুনের একাধিক মোটিভ নিয়ে মাঠে কাজ করে যাচ্ছে। এ ছাড়াও ওই এলাকায় কোনো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ না পাওয়ার কারণে খুনিদের চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। হত্যাকারীরা নিহতের স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে যাওয়ার বিষয়টিকে গভীরভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তেজগাঁও থানাধীন পশ্চিম নাখালপাড়ার ২৮৮ নম্বর পাঁচতলা বাড়িতে কে বা কারা বাসা ভাড়ার নাম করে বাড়ির দ্বিতীয় তলায় যায়। পরে বাড়ির মালিক আমেনা বেগম তাদের নিচতলায় ডানপাশের ফ্ল্যাট দেখাতে নিচে নামেন। এ সময় দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে পালিয়ে যায়।
পরে পরিবারের সদস্যরা মহাখালীর একটি হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সূত্র জানায়, এ ঘটনায় নিহতের ছোট ছেলে বাবু আহমেদ বাদী হয়ে তেজগাঁও থানায় একটি মামলা করেছেন। মামলার এজাহারে অজ্ঞাতনামাদের আসামি করা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তেজগাঁও থানার ইন্সপেক্টর মো. আমিনুল ইসলাম গতকাল দুপুরে মানবজমিনকে জানান, এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় একটি মামলা করা হয়েছে। আমরা বিষয়টি খতিয়ে দেখছি। গত তিন দিনেও এ ঘটনায় কাউকে গ্রেপ্তার করা যায়নি। তিনি আরো জানান, পরিবারের পক্ষ থেকে খুনের কোনো কারণ বলতে পারেনি। এ কারণে আমাদের তদন্ত করতে সময় লাগছে। তাছাড়াও এলাকায় কোনো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ না পাওয়ার কারণে খুনিদের চিহ্নিত করতে বেগ পেতে হচ্ছে। তবে, ভিকটিমের কাছ থেকে স্বর্ণালঙ্কার নিয়ে গেছে খুনিরা। ঘটনাটি ডাকাতি কী-না তা জোরালোভাবে খতিয়ে দেখা হচ্ছে।