গর্ভবতী মা ও শিশুদের দন্ত চিকিৎসায় মার্কারির ব্যবহার বন্ধের ঘোষণা দিয়েছে বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি। ২০১৮ সালের ৩০ জুনের মধ্যে এই পণ্যের ব্যবহার বন্ধে সকল ডেন্টাল সার্জনদের প্রতি আহ্বান জানায় সংগঠনটি। গতকাল ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এনভায়রনমেন্ট অ্যান্ড সোশাল ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (এসডো) এর সহযোগিতায় বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটি সংবাদ সম্মেলনে এ আহ্বান জানান। এসময় এসডো’র চেয়ারম্যান ও সাবেক সচিব সৈয়দ মার্গুব মোর্শেদ বলেছেন, মিনামাটা কভেনশনটি যেহেতু আন্তর্জাতিক কোর্সে যুক্ত হয়েছে, তাই মিনামাটা কনভেশনের স্বাক্ষরকারী দেশ হিসেবে ২০২০ সালের মধ্যে মার্কারিযুক্ত সকল পণ্যের ব্যবহার ও আমদানি বন্ধের ক্ষেত্রে সরকারের কাছে আবেদন জানাই। বাংলাদেশ ডেন্টাল সোসাইটির (বিডিএস) সভাপতি অধ্যাপক ডা. আবুল কাসেম বলেন, মার্কারির মতো একটি বিষাক্ত ধাতু আমাদের শরীরই নয়; পরিবেশকেও ক্ষকিগ্রস্ত করছে। তাই সকল ডেন্টাল সার্জনদের অনুরোধ করব ভবিষ্যত প্রজন্মদের এবং পরিবেশ রক্ষায় স্বার্থে জুন ২০১৮ এর মধ্যে গর্ভবতী, স্তন্যদানকারী মা ও শিশুর দাঁতের চিকিৎসায় মার্কারি ব্যবহার সম্পূর্ণরূপে পরিহারের জন্য। এক প্রশ্নের জবাবে বিডিএস সভাপতি বলেন, দেশে নিবন্ধিত দন্ত চিকিৎসকের সংখ্যা এখন ১০ হাজার আর কোয়াক(হাতুরে চিকিৎসক)এর সংখ্যা ৬০ হাজার। গ্রামে ৭২ শতাংশের দাঁতেই ফিলিং করানো আছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
বিডিএস’র মহাসচিব ডা. হুমায়ুন কবির বুলবুল বলেন, মিনামাটা কনভেশনের স্বাক্ষরকারী অন্যতম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে মার্কারিমুক্ত পণ্যের দেশ হিসেবে গড়ে তোলা অত্যন্ত জরুরি। বিডিএস’র ঘোষণা সরকারকে মার্কারির আমদানি ও ব্যবহার বিশেষত ডেন্টাল অ্যামালগাম বন্ধের আইন প্রণয়নে সহায়তা করবে। ওয়ার্ল্ড অ্যালায়েন্স ফর মার্কারি ফ্রি ডেন্টিস্ট্রির নির্বাহী সভাপতি ও এসডোর মহাসচিব ড. শাহরিয়ার হোসেন বলেন, আশা করছি বিডিএস’র ঘোষণার মাধ্যমে বাংলাদেশে মার্কারিমুক্ত দাঁতের চিকিৎসা প্রতিষ্ঠায় আমরা এক ধাপ এগিয়ে যাবো। এসডোর নির্বাহী পরিচালক সিদ্দীকা সুলতানা দাঁতের চিকিৎসায় সম্পূর্ণরূপে মার্কারিমুক্ত করার আহবান জানান।