রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে সুমন সিকদার হত্যার ঘটনায় কয়েক জনকে চিহ্নিত করেছে পুলিশ। তাদের মধ্যে অন্যতম জনি। তদন্ত সংশ্লিষ্টদের ধারণা এই হত্যাকাণ্ডে জনিসহ কয়েক জন জড়িত রয়েছে। জনিকে গ্রেপ্তার করতে পারলে এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য উন্মোচিত হবে বলে ধারণা করছে পুলিশ। সিসি টিভির ফুটেজ ও ফোনের কল লিস্টের সূত্র ধরেই জড়িতদের শনাক্ত করা হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে। শুক্রবার বিকালে যাত্রাবাড়ীর শহীদ ফারুক সড়কের ৩১ নম্বর বাড়ির তৃতীয় তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে সাংবাদিক সুমনের হাত-পা বাঁধা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। পরে এ ঘটনায় নিহতের মা ফেরদৌসি বেগম বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় একটি মামলা করেন।
তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সুমনের বাবার নাম রহমান সিকদার। বাড়ি নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জ থানার কাহিনী গ্রামে।
নিহত সুমন ইসলামিকনিউজ২৪.নেট নামে একটি অনলাইন নিউজ পোর্টালের মালিক ছিলেন। শহীদ ফারুক রোডের ওই বাসা তিনি অফিস হিসেবে ব্যবহার করতেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপ-পরিদর্শক শাহিদ হাসান জানান, হত্যাকাণ্ডের বিষয়টি গুরুত্বের সঙ্গে তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। ঘটনার পর ওই বাড়ির সিসিটিভির ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়েছে। সেগুলো যাচাই বাছাই করা হচ্ছে। পাশাপাশি নিহত সুমনের কললিস্টও যাচাই করা হচ্ছে।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা জানান, সুমন খুনে বেশ কয়েক জনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে জনি অন্যতম। জনিসহ অন্যদের ধরতে অভিযান চলছে। আসামিরা দ্রুত ধরা পড়বে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
জানা গেছে, সাংবাদিক সুমনের দুই স্ত্রীর মধ্যে দ্বিতীয় স্ত্রীকে নিয়ে তিনি ওই বাসায় থাকতেন। প্রথম স্ত্রী তার গ্রামের বাড়িতে থাকতেন। দুই মাস আগে সন্তান সম্ভবা দ্বিতীয় স্ত্রীকে তিনি ফরিদপুরে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। এ কারণে তিনি ওই ফ্ল্যাটে একাই থাকতেন। ৭ই মার্চ সকাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন সুমন।