অদ্ভুত এক কাণ্ড ঘটে গেছে আর্জেন্টিনায়। সেখানে একটি শূকর মা জন্ম দিয়েছে আটটি ছানা। কিন্তু তার মধ্যে একটি দৈহিক গড়ন নিয়ে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। ওই শূকরছানাটির মুখাবয়ব হুবহু মানুষের আকৃতির। তবে জন্ম নেয়ার কয়েক ঘন্টা পরেই মারা যায় সেটি। মারাত্মক শ্বাসকষ্ট হচ্ছিল শূকরছানাটির। এ নিয়ে চারদিকে নানা গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। সান্তিয়াগো ডেল এস্তেরো প্রদেশের এক গ্রামীণ জনপদে এ ঘটনা ঘটেছে।
সেখানে বসবাস করেন ওয়াল্টার অস্কার ভেলেজ এবং তার স্ত্রী রোক্সানা নাওমি ভিল্লারিয়াল। তারা শূকর ও ছাগলের মধ্যে সংকরায়ণ করান। তাদের ফার্মেই জন্ম নেয় ওই শূকরছানা। আর্জেন্টিনায় পশুর ক্রস বা সঙ্করায়নের ভয়াবহ এমন আরো ঘটনা আছে। এটা সেখানে ঘটছে যেখানে কীটনাশক ব্যবহার করা হয় প্রচুর পরিমাণে। জেনেটিক উপায়ে তৈরি করা খাবার বেশি করে ব্যবহার করা হয়। এই প্রদেশেই দুই মাথাবিশিষ্ট একটি ছাগলছানা জন্ম নিয়েছিল। সম্প্রতি উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় প্রদেশ এন্ট্রে রিওস-এ দুই মাথা ও ছয় পা বিশিষ্ট একটি বাছুর জন্ম নেয়। মানুষের মুখাকৃতির একটি ছাগল জন্ম নেয়। এল গ্যাপোন প্রদেশে জন্ম নেয় আট পা বিশিষ্ট একটি শূকরছানা। ফলে অনেক মানুষই বিশ্বাস করছেন পরিবেশ দূষণের কারণে এমন বিকৃত পশু জন্ম নিচ্ছে। তাদেরকে দেখতে উদ্ভট। জন্ম নেয়ার পর পরই এসব পশু মারা যাচ্ছে। ফার্মাকোলজিস্ট ও পুষ্টিবিদ ডা. মেডারদো আভিলা ভাসকুয়েজ বলেন, আর্জেন্টিনার প্রঅয় এক কোটি ২০ লাখ মানুষ বসবাস করেন এমন সব এলাকায় যেখানে চাষ করা হয় সয়াবিন। এসব ক্ষেতে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করা হয়। তিনি বলেন, ছাকো প্রদোশে সবচেয়ে বেশি সয়াবিন উৎপাদন করা হয়। ফলে সেখানে কীটনাশকের ব্যবহারও বেশি। এ জন্য ১০ বছর সময়ের মধ্যে সেখানে প্রচুর পরিমাণে বিকৃত পশু জন্ম নিতে দেখা গেছে। কারণ, ওই ছাকো প্রদেশে সয়াবিন উৎপাদন সাত গুন বৃদ্ধি করা হয়েছে। তিনি বলেন, আমি যে ক্লিনিকে কাজ করি সেখানে সব সময়ই দেখতে পাই শিশুরা মারা যাচ্ছে।