জনপ্রিয় অভিনেত্রী নুসরাত ইমরোজ তিশা। গেল কয়েক বছর কোনো টিভি ধারাবাহিকে নেই তিনি। তবে বিশেষ দিবসের নাটকে তাকে দেখা যায়। গল্প-চরিত্র ও পরিচালক পছন্দ হলে বিশেষ দিবসের দু-একটি নাটকে কাজ করছেন এই অভিনেত্রী। আসছে ঈদের জন্য এরইমধ্যে দুটি নাটকের শুটিং শেষ করেছেন তিশা। নাটক দুটি হলো সাগর জাহানের মাহিন সিরিজের ‘মাহিনের লাল ডায়েরি’ ও ‘মাছের দেশের মানুষ’। দুটি নাটকেই তিনি জুটি বেঁধেছেন জনপ্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিমের সঙ্গে। তিশা বলেন, দুটি নাটকের শুটিং হয়েছে কক্সবাজারে।
আজ ঢাকায় ফিরবো। মাহিন সিরিজের আগের পর্বগুলো দর্শকরা দারুণভাবে গ্রহণ করেছেন। বিশেষ করে ‘মাহিনের নীল তোয়ালে’ সব শ্রেণির দর্শকের কাছে প্রশংসিত ছিল। এবার ‘মাহিনের লাল ডায়েরি’ও আশা করছি দর্শকরা গ্রহণ করবে। এছাড়া ‘মাছের দেশের মানুষ’ নাটকের গল্পটিও অন্যরকম। এখানে আমি একজন সাইকোলজিস্টের চরিত্রে অভিনয় করছি। বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী একজন মানুষকে স্বাভাবিক করে তোলার জন্য আমি এগিয়ে আসি। টিভি নাটকের বাইরে তিশা এখন মনোযোগী চলচ্চিত্রের দিকে। চলচ্চিত্রের ব্যস্ততার কারণেই ছোট পর্দায় তার নিয়মিত উপস্থিতি নেই বলা চলে। এদিকে ১২ই মার্চ থেকে তিনি শুরু করছেন তৌকীর আহমেদ পরিচালিত ও ইমপ্রেস টেলিফিল্ম প্রযোজিত ‘ফাগুন হাওয়া’ ছবিটি। এটিতে তার বিপরীতে অভিনয় করবেন সিয়াম আহমেদ। এর আগে তৌকীর আহমেদের ‘হালদা’ ছবিতে অভিনয় করে ব্যাপক প্রশংসা পেয়েছেন এই অভিনেত্রী। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে নির্মিত হবে ‘ফাগুন হাওয়া’। সিয়াম-তিশা ছাড়াও এই ছবিতে আরো অভিনয় করবেন আবুল হায়াত, ফজলুর রহমান বাবু, শহীদুল আলম সাচ্চু, রওনক হাসান, ফারুক আহমেদ, সাজু খাদেম ও শাহাদাত হোসেন প্রমুখ। ‘ফাগুন হাওয়া’ ছাড়াও তিশার হাতে রয়েছে অরিন্দম শীলের ‘বালিঘর’ ছবিটি। এই ছবিতে তাকে দেখা যাবে জনপ্রিয় অভিনেতা আরেফিন শুভর সঙ্গে। আগামী ২০শে মার্চ থেকে ১৭ই এপ্রিল পর্যন্ত এ ছবির টানা কাজ চলবে। চট্টগ্রাম, ঢাকা এবং এরপর কলকাতায় এ ছবির কাজ হবে। কলকাতার প্রখ্যাত সাহিত্যিক সুচিত্রা ভট্টাচার্যের ‘ঢেউ আসে ঢেউ যায়’ উপন্যাসের ছায়া অবলম্বনে ছবিটি নির্মিত হচ্ছে বলে জানান অরিন্দম। পরিচালনার পাশাপাশি এর চিত্রনাট্যও লিখেছেন তিনি। ছবিটিতে যুক্ত হতে পেরে তিশা বেশ উচ্ছ্বসিত বলে জানান। তিনি বলেন, যৌথ প্রযোজনার এই ছবিটি দু’দেশের দর্শকদের মনে দাগ কাটবে বলে আমি আশা করছি।