× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বছরের শুরুতেই অডিও অঙ্গনে স্থবিরতা

বিনোদন

ফয়সাল রাব্বিকীন
১২ মার্চ ২০১৮, সোমবার

বছরের তিনটি মাস যেতে না যেতেই আবারো স্থবিরতা গ্রাস করেছে অডিও অঙ্গনকে। ভালোবাসা দিবসের উত্তাপহীন অডিও বাজার এই অবস্থাকে আরো ত্বরান্বিত করেছে। আশা করা হয়েছিল বছরের প্রথম এ দিবসটিকে ঘিরে অডিও বাজার বেশ জমে উঠবে। কিন্তু সেটা হয়নি। এ দিবসে গানই প্রকাশ হয়েছে হাতেগোনা। অ্যালবাম নয়, সিঙ্গেল ভিডিওসহ প্রকাশ হয়েছে কিছু গান। বাণিজ্যিক বিচারে যেসব শিল্পী এগিয়ে রয়েছেন তাদের হাতেগোনা কিছু গান নিয়েই ভালোবাসা দিবসটি পার করেছে কোম্পানিগুলো। সার্বিক বিচারে এটিকে একটি সুপারফ্লপ ভালোবাসার অডিও বাজারও বলা যায়।
এদিকে ভালোবাসা দিবসের পর স্থবিরতা আরো বেড়েছে। অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছে আসছে বৈশাখের অডিও বাজারও। অনেকেই এ দিবসটিকে ঘিরে অ্যালবাম ও গান প্রকাশের পরিকল্পনাও করেছিলেন। তবে এরই মধ্যে বাজারের মন্দার কারণে পিছপা হওয়ারও ইঙ্গিত মিলেছে। ব্যবসায়িক মন্দাই এ অবস্থার অন্যতম কারণ হিসেবে মনে করছেন অডিও প্রযোজকরা। এরই মধ্যে ওয়েলকাম টিউন থেকে আয় নেমে এসেছে প্রায় শূন্যের কোঠায়। পাশাপাশি বিভিন্ন সেলফোন কোম্পানির অ্যাপস থেকেও তেমন একটা আয় আসছে না। এমন অবস্থায় শুধু ইউটিউব থেকে আসা আয়ের ওপর নির্ভর করে নতুন গানে বিনিয়োগ করে রিস্ক নিতে চাচ্ছে না কোম্পানিগুলো। এ কারণে গত কয়েক বছরের মধ্যে সংখ্যার বিচারে ভালোবাসা দিবসে গান প্রকাশ হয়েছে একেবারে কম। পহেলা বৈশাখে একই অবস্থা হওয়ার সম্ভবনার কথাও জানিয়েছে অডিও কোম্পানিগুলো। তাই সব মিলিয়ে বছরের শুরুতেই হতাশা ভর করেছে অডিও অঙ্গনে। বর্তমানে সংগীত তারকা কুমার বিশ্বজিৎ, ফাহমিদা নবী, আসিফ আকবর, হাবিব ওয়াহিদ, তাহসান, ইমরান, মিনার, কাজী শুভ, এফ এ সুমন, মিলন, কনা, পূজা, ঐশী, লিজা, পড়শীসহ হাতেগোনা আরও কিছু শিল্পীর বাইরে কোম্পানি তেমন লগ্নিও করছে না। যার ফলে গত ছয় মাসে অন্যান্য শিল্পীর গানও প্রকাশ হয়েছে খুব কম। বাণিজ্যিক বিচারেই কেবল গান প্রকাশ করছে কোম্পানিগুলো। এমন অবস্থায় নতুন শিল্পীরা পড়েছেন বেশি বিপাকে। কারণ নতুন শিল্পীদের গান কোম্পানিগুলো প্রকাশ করছে না বললেই চলে। এর কারণে নতুন প্রতিভা থাকলেও সেটা বিকশিত করার সুযোগ পাচ্ছেন না মেধাবী নতুনরা। সব মিলিয়ে এ জায়গাটিতেও রয়েছে স্থবিরতা। এদিকে অডিও অঙ্গনের চলতি স্থবিরতা প্রসঙ্গে এমআইবি সভাপতি ও লেজারভিশনের চেয়ারম্যান এ কে এম আরিফুর রহমান বলেন, আসলে এখন অবস্থা খুবই খারাপ। নতুন গান প্রকাশ কমেছে এটা ঠিক। কারণ, ব্যবসা না থাকলে কোম্পানিগুলো বিনিয়োগ করবে কীভাবে। কিন্তু তারপরও আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি সমস্যা নিরসনে। এমআইবির তরফ থেকে সেলফোন কোম্পানিগুলোর সঙ্গে একাধিকবার বৈঠক করেছি আমরা। সামনেও করবো। হয়তো সামনে কোনো সমাধান নিশ্চয়ই বেরিয়ে আসবে। বর্তমান অবস্থা নিয়ে আমরা হতাশ ঠিকই। কিন্তু আশাও ছাড়িনি। আমাদের বিশ্বাস সামনে ভালো সময় আসবেই। অন্যদিকে চলতি অবস্থা প্রসঙ্গে সংগীততারকা আসিফ আকবর বলেন, আসলে এখন এমন একটা সময় যে কাজ করে যেতে হবে। নিজের চেষ্টা থাকতে হবে। আমি কিন্তু আমার নিজস্ব গতিতেই আছি। নিয়মিত গান প্রকাশ করছি। প্রতিদিন কোনো না কোনো নতুন গানে কণ্ঠ দিচ্ছি। জানি সবাই হয়তো ভালো নেই। কিন্তু এই ভালো না থাকার ভেতরেও কাজ করে যেতে হবে। কাজ না করলে পিছিয়ে যেতে হবে। আর এই পরিস্থিতিতেও যারা নিয়মিত কাজ করার চেষ্টা করে যাবে তারাই এগিয়ে যাবে। কারণ এখন গান শোনা, প্রকাশ সব কিছুই সহজ হয়েছে। কেউ যদি তিন-চার মাস গ্যাপে থাকে সেখান থেকে বের হয়ে আসাও কঠিন। তাই গ্যাপ দেয়া যাবে না। নিয়মিত কাজ করে যেতে হবে। চলমান অবস্থার সমাধানের আশা করে এমআইবির সাধারণ সম্পাদক ও সিএমভির কর্ণধার শেখ সাহেদ আলী পাপ্পু বলেন, সব মিলিয়ে অডিও ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা এখন খুব বেশি ভালো নয়। তবে একেবারে নিরবও হয়ে যায়নি ইন্ডাস্ট্রির অবস্থা। আমরা এমআইবির তরফ থেকে অবস্থার উন্নয়নে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি। আগামী দুই মাসের মধ্যে হয়তো একটা পরিবর্তন আসতে পারে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর