× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ব্রিজের উপর সাঁকো 

বাংলারজমিন

মুহাম্মদ হাবীবুল্লাহ হেলালী, দোয়ারাবাজার (সুনামগঞ্
১২ মার্চ ২০১৮, সোমবার

দোয়ারাবাজারে ব্রিজের উপর সাঁকো তৈরি করে ঝুঁকিপূর্ণভাবে চলাচল করতে হচ্ছে এলাকাবাসীকে। উপজেলার নরসিংপুর বাজার-ঘিলাছড়া সড়কের রগার খালের উপর বাজারের সন্নিকটে নির্মিত পুরাতন ব্রিজটি ভেঙে গেলে ২০১৬ সালে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ নতুন ব্রিজ নির্মাণ করে। নির্মাণ কাজ শেষ হওয়ার পর গত বছর পাহাড়ি ঢলে ব্রিজের দুই দিকের মাটি সরে দুই তীরের যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। প্রতিনিয়ত ছোট যান চলাচল এমনকি পারাপারে চরম দুর্ভোগে পড়েন এলাকাবাসী। দীর্ঘদিন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেও কোনো প্রতিকার না পেয়ে শেষমেশ স্থানীয়রা নিজ উদ্যোগে ব্রিজের দুই দিকে বাঁশ ও কাঠের সাঁকো তৈরি করে চলাচল করে। শ্রীপুর গ্রামের প্রবাসী ছমির উদ্দিন জানান, ব্রিজ নির্মাণের পর দুই দিকের মাটি সরে ব্রিজের সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ার পর চলাচলে চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। এলাকাবাসী নিজেদের উদ্যোগে চাঁদা তুলে ব্রিজের উপর সাঁকো তৈরি করে সংযোগ রাস্তা নির্মাণ করা হয়েছে। প্রতিনিয়ত দুই ইউনিয়নের মানুষ ওই সাঁকো দিয়ে ঝুঁকির মধ্যেই পারাপার হচ্ছে।
সোনাইত্যা গ্রামের নোয়াব আলী জানান, শুষ্ক মৌসুমে ব্রিজের উপর সাঁকো দিয়ে ঝঁকিপূর্ণভাবে পারাপার হতে পারলেও বর্ষায় পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ব্রিজটি ভেঙে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে চরম ভোগান্তিতে পড়বে কয়েকটি গ্রামের মানুষ। নরসিংপুর বাজারের ব্যবসায়ী মুক্তার আলী বলেন, নরসিংপুর  ও বাংলাবাজার দুই ইউনিয়নের যোগাযোগের একমাত্র সড়কের রগারখালের ওই ব্রিজটি নির্মাণ কাজের পরপরই দুই দিকের মাটি সরে গিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়। এলাকাবাসী ব্রিজের উপর বাঁশের সাঁকো তৈরি করেন। স্কুল, কলেজ ও মাদরাসার শিক্ষার্থীরা  প্রতিনিয়ত ঝুঁকিপূর্ণভাবেই পারাপার হচ্ছে ব্রিজ। বর্ষায় দুই তীরের মানুষদের ভোগান্তির অন্ত থাকবে না। জানতে চাইলে নরসিংপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুর উদ্দিন আহমদ বলেন, ব্রিজের দুই দিকে মাটি ভরাট করে প্রটেকশন বাঁধ দেয়ার জন্য এলজিইডি কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর