সাভারের আশুলিয়ায় দাবিকৃত চাঁদা না দেয়ায় এক রিকশা চালককে বেধড়ক পিটিয়ে আহত করার অভিযোগ উঠেছে এক ট্রাফিক পুলিশ সদস্য নুরুল আমিনের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় গুরুতর অবস্থায় আহত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। গতকাল দুপুরে বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়কের জামগড়া এলাকায় এ মারধরের ঘটনা ঘটে। আহত রিকশা চালকের নাম আব্দুল মালেক (৩২)। সে বগুড়ার আদমদিঘি থানার দরিয়াপুর গ্রামের আফজাল সরদারের ছেলে। আব্দুল মালেক আশুলিয়ার জামগড়ার কাঁঠালতলা এলাকার ওহাব মিয়ার বাড়িতে পরিবার নিয়ে ভাড়া থেকে রিকশা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। এদিকে পুলিশের বেধড়ক মারধরে রিকশা চালক মালেকের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়লে বিক্ষুব্ধ হয়ে উঠে স্থানীয়রা। এসময় দোষী পুলিশ সদস্যের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে প্রায় এক ঘণ্টা বাইপাইল-আব্দুল্লাহপুর সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রোববার দুপুরে আশুলিয়ার জামগড়া এলাকায় নুরুল আমিন নামের এক ট্রাফিক সদস্য রিকশা চালক আব্দুল মালেকের কাছে চাঁদা দাবি করেন। চাঁদা দিতে অস্বীকার করায় ট্রাফিক সদস্য ওই রিকশা চালককে বেধড়ক মারধর করে। মারধরের একপর্যায়ে অন্ডকোষে আঘাত লাগলে ওই চালক অচেতন হয়ে পড়ে। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় নারী ও শিশু স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। নারী ও শিশু হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক ডা. সাকলাইন মোসাদ্দিক জানান, আব্দুল মালেককে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। বর্তমানে সে অবস্থা শঙ্কামুক্ত হলেও অন্ডকোষের আঘাতজনিত কারণে তাকে কিছুদিন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকতে হবে।
ঢাকা জেলা ট্রাফিক পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, ট্রাফিক পুলিশ সদস্য কর্তৃক রিকশা চালককে পিটিয়ে আহত করার ঘটনাটি শুনেছেন। এ ঘটনায় আহত রিকশাচালককে চিকিৎসা প্রদানের পাশাপাশি ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত পূর্বক দোষী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে ।