শ্রীলঙ্কার ক্যান্ডিতে মুসলিমদের বিরুদ্ধে সহিংসতায় কি বাইরের কোনো দেশের তহবিল বা সহায়তা ছিল? অন্য কোনো দেশ থেকে কি মুসলিমদের বিরুদ্ধে দাঙ্গায় উসকানি দেয়া হয়েছিল? এসব প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে শ্রীলঙ্কায় তিনজন সাবেক বিচারকের সমন্বয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। এরই মধ্যে এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহ কমপক্ষে ১০ জন রিংলিডার বা মূল হোতাসহ কমপক্ষে ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত সপ্তাহে ছড়িয়ে পড়া দাঙ্গা নিয়ন্ত্রণে প্রেসিডেন্ট মাইথ্রিপালা সিরিসেনা সেখানে ১০ দিনের জন্য জরুরি অবস্থা ও কারফিউ ঘোষণা করেন। তবে শনিবার কারফিউ প্রত্যাহার করা হয়েছে। বলা হয়েছে, নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে কারফিউ নতুন করে আরোপ করা হতে পারে। স্থানীয় পুলিশের মুখপাত্র রুওয়ান গুনাসেকারা এ কথা বলেছেন। এ খবর দিয়েছে ভারতের অনলাইন দ্য হিন্দু ও বার্তা সংস্থা রয়টার্স। এতে বলা হয়, গত সপ্তাহে দিগানা, আকুরানা ও কাতুগাস্তোতা শহরে মুসলিমদের বাড়িঘর, দোকানপাট ও মসজিদে হামলা হয়।
স্থানীয় বৌদ্ধদের চালানো এ হামলায় মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয় বাড়িঘর, দোকানপাট, মসজিদ। মুসলিম যুবকদের একটি গ্রুপের সঙ্গে একটি উত্তেজনাকর অবস্থায় একজন সিনহলিজ নিহত হন। এরপরই সিনহলিজ বৌদ্ধরা বেপরোয়া হামলা শুরু করে। ক্যান্ডিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ার প্রেক্ষিতে প্রেসিডেন্ট সিরিসেনা জরুরি অবস্থা জারি করেন মঙ্গলবার। ফেসবুক, ভাইবার, হোয়াটসঅ্যাপ সহ বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম তিন দিনের জন্য বন্ধ করে দেয় কর্তৃপক্ষ। ক্যান্ডি জেলায় মোতায়েন রাখা হয়েছে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যদের। এরই মধ্যে পুলিশ উগ্রপন্থি বৌদ্ধ সিনহলিজ বৌদ্ধ গ্রুপ মহাসোনা বালাকায়া’র নেতা অমিত বিরাসিংঘেসহ সন্দেহভাজন ১৫০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। শনিবার ক্যান্ডি সফর করেছেন প্রধানমন্ত্রী রানিল বিক্রমাসিংঘে।
তিনি বলেছেন, ক্ষতিগ্রস্ত সম্পদের বিপরীতে পূর্ণাঙ্গ ক্ষতিপূরণ দেবে তার সরকার। উগ্রপন্থি বৌদ্ধ নেতা অমিত বিরাসিংঘে ও তার ৯ জন সন্দেহভাজন ভক্তকে মসজিদ ও মুসলিমদের সম্পদের ওপর হামলা চালানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বৃহস্পতিবার।