× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খুলনায় জিম্মি করে অর্থ আদায়

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, খুলনা থেকে
১২ মার্চ ২০১৮, সোমবার

খুলনা জেলার কয়রা উপজেলা দক্ষিণ বেদকাশি ইউনিয়নে মাহফিল থেকে তুলে নিয়ে নিতাই চন্দ্র গাইনকে বেধড়ক মারপিটের পর জিম্মি করে নগদ অর্থ ও স্বর্ণালঙ্কার ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত বৃহস্পতিবার রাতে নিতাই চন্দ্র গাইনের ভাই নিমাই চন্দ্র গাইন বাদী হয়ে চারজনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৩-৪ জনকে আসামি করে কয়রা থানায় মামলা করেছেন। এদিকে গুরুতর জখম অবস্থায় নিতাই চন্দ্র গাইন খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। আর পরিবারের অন্য সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে বলে অভিযোগ করেছেন মামলার বাদী।
মামলার আসামিরা হলো- দক্ষিণ বেদকাশি গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক গাজীর ছেলে রেজওয়ান গাজী (২৮), মোহাম্মদ সরদারের ছেলে মকুল সরদার (৩৫), গোলখালী গ্রামের মো. রফিকুল ঢালীর ছেলে সাদ্দাম ঢালী (২৯) ও নওশের শেখের ছেলে রউফ শেখ (৪০)সহ অজ্ঞাত ৩-৪ জন। আসামিরা সবাই ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মী বলে এলাকাবাসী জানিয়েছে। তবে তারা কে কোন পদে তা জানা যায়নি। মামলার এৎাহার সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ বেদকাশি এলাকার মৃত ফকির চন্দ্র গাইনের ছেলে নিতাই চন্দ্র গাইন স্থানীয় শফি সরদারের ট্রলারের কর্মচারী। গত ৮ই মার্চ সন্ধ্যায় শফি সরদার ছোট আংটিহারা গ্রামের মাহফিলে সঙ্গে করে নিয়ে যায় নিতাই চন্দ্র গাইনকে।
একপর্যায়ে মোবাইলে কল আসলে নিতাই চন্দ্র মাহফিলের পাশে গিয়ে কথা বলেন। এমন সময় আসামিরা এসে তার চোখ বেঁধে ধরে নিয়ে যায় ঘড়িলাল বাজারে। সেখানে বেদম মারধর করে তার কাছে থাকা মোবাইলসেট ও নগদ ৪ হাজার ৬শ’ টাকা ও ঘরের চাবি ছিনিয়ে নেয়। পরে নিতাই চন্দ্রের ঘেরের বাড়িতে গিয়ে গোপন স্থানে রক্ষিত ২০ হাজার টাকা ও ৮ আনা ওজনের স্বর্ণের আংটি ছিনিয়ে নেয় সন্ত্রাসীরা। পরে দুর্বৃত্তরাই ফোন করে নিতাই চন্দ্রের বড় ভাইকে জানায় কে বা কারা নিতাইকে মেরে ঘড়িলাল বাজারে ফেলে গেছে। একপর্যায়ে এলাকাবাসী গিয়ে তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে তাকে গতকাল খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। মামলার বাদী নিমাই চন্দ্র গাইন বলেন, ঘটনার পর থেকে প্রভাবশালীরা আমাদের পরিবারকে হুমকি দিচ্ছে, মামলার পরে তো আমাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে মারবে তাই!
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা কয়রা থানার এসআই কিশোর কুমার বলেন, মামলার পর থেকে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর