খুলনায় মো. আমিরুল ইসলাম ওরফে আমিরুল্লাহ (১৮) নামের এক নৌযান শ্রমিককে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে হত্যার পর লাশ ভৈরব নদীতে ফেলে দেয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। রোববার নগরীর শিরোমণি বিএডিসি’র সার গোডাউন সংলগ্ন ভৈরব নদীর ঘাটে এ ঘটনা ঘটে। পুলিশ ডুবুরি দিয়ে অভিযান চালিয়ে বিকালে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ এমভি লুবনা নামক কার্গোর ভাড়াটিয়া মালিক শামীম মিয়াসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে। নিহত আমিরুল ইসলাম ওরফে আমিরুল্লাহ খুলনার তেরখাদা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের শেখ ইসমাইল হোসেনের ছেলে। সে এমভি লুবনা নামক কার্গোতে শ্রমিক হিসেবে কর্মরত ছিল।
পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শী সূত্র জানায়, আমিরুল ইসলামকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না-মর্মে রোববার সকালে কার্গোর ভাড়াটিয়া মালিক শামীম মিয়া ফোন করে তার ভাই শহীদুল শেখকে খবর দেন। খবর পেয়ে পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে এলেও তাদের মধ্যে এ বিষয়ে কোনো তৎপরতা ছিল না।
যে কারণে পরিবারের সদস্যরা বিষয়টি নগরীর খানজাহান আলী থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ খবর পেয়ে ডুবুরি দিয়ে ঘটনাস্থলে তল্লাশি করে বিকাল চারটার দিকে তার লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে শামীম মিয়া, খোকন সরদার ও আব্দুর রশীদকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। নিহতের বড় ভাই শহিদুল ইসলাম শেখ জানান, কার্গোর ম্যানেজার শামিম রোববার সকাল ৯টায় বাড়ির পাশের এক প্রতিবেশীর মোবাইলে জানান আমিরুল্লাহকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। খবর পেয়ে তারা
সবাই এলাকায় এসে পুলিশ প্রশাসন এবং ডুবুরি দল খবর দিয়ে নদীতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশি চালিয়ে সন্ধ্যায় কার্গোর পাশে নদীর তল থেকে আমিরুল্লাহর লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি আরো জানান, তার ভাইয়ের দাঁতভাঙ্গা, কান কাটা, চোখে আঘাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন ছিল। আমিরুল্লাহকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে নদীতে ফেলে দেয়া হয়েছে। খানজাহান আলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. লিয়াকত আলী বলেন, নিহতের কপাল, কান ও হাতসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। লাশ উদ্ধার করে পোস্টমর্টেমের জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতদের জিজ্ঞাসাবাদ করে হত্যাকাণ্ডের কারণ উদঘাটনের চেষ্টা করা হচ্ছে।