× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘আগে আছিল আন্ধার অহন সব ফকফকা’

বাংলারজমিন

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) থেকে সংবাদদাতা
১৩ মার্চ ২০১৮, মঙ্গলবার

সূর্য জ্বালানিতে (সান ফুয়েল, সোলার প্যানেল বা সৌরবিদ্যুৎ হিসেবে অধিক পরিচিত) জ্বলেছে এবার গ্রামীণ সড়কবাতি। আলোকিত করেছে এলাকা। মতলব উত্তরের লোকজন বলাবলি করে ‘আগে আছিল আন্ধার (অন্ধকার) অহন ফকফকা।’
চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলার ৬০ কিলোমিটার মেঘনা-ধনাগোদা সেচ প্রকল্পের বেড়িবাঁধ, সাড়ে ১৩ কি.মি. মায়া বীরবিক্রম সড়ক, উপজেলার প্রতিটি বাজার, গুরুত্বপূর্ণ স্থান, বিভিন্ন রাস্তা-ঘাটের মোড়, লঞ্চঘাট, শিক্ষপ্রতিষ্ঠান-ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের সামনে ও চরাঞ্চলসহ ৩ শতাধিক পয়েন্টে স্টিলের বিশেষ ধরনের সোলার পোলে এই বাতি বসানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ পৌঁছে দেয়ার অঙ্গীকারে গ্রামীণ সড়কেও সৌর বিদ্যুৎ আলো দিচ্ছে। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদফতরের গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণ কর্মসূচির আওতায় সৌর বিদ্যুতের এ সড়ক বাতি বসেছে। ইডকলের সহযোগিতায় ঢাকার উদ্দীপন এই এলইডি সৌর বাতিগুলো বসিয়েছে।
উপজেলার ছেংগারচর বাজার, আনন্দ বাজার, আমিরাবাদ-মোহনপুর-এখলাপুর হয়ে নদীর ওপারের চরাঞ্চলের গ্রামীণ রাস্তার ও এলাকাজুড়ে এই বাতি স্থাপিত হয়েছে। সড়কের এই সৌরবিদ্যুতের আলোয় অনেক এলাকা আলোকিত হয়েছে। এলাকার লোকজন আগে অন্ধকারে চলাচল করত।
এখন পথ অলোয় ভরেছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন (উন্নয়ন) অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী বছরে এ সোলার সড়কবাতি আরও সমপ্রসারিত হয়ে মতলব উত্তরের অনেক গ্রামীণ সড়কে পৌঁছানো হবে। পর্যায়ক্রমে প্রতিটি এলাকার গ্রামীণ রাস্তায় সোলার সড়ক বাতি বসবে। এতে উৎপাদিত বিদ্যুতের চাপ অনেকটা কমে যাবে।
এলাকার লোকজন জানান, মতলব উত্তরের বিভিন্ন রাস্তায় ছিনতাইসহ নানা অপরাধ হতো। বিশেষ করে গভীর রাতে লঞ্চে আসা যাত্রীর, গভীর রাতে শ্রীরায়েরচর, কালিপুর ও মতলব খেয়াঘাট হয়ে এ উপজেলায় যারা আসা-যাওয়া করতেন সাধারনত তারাই এ পরিস্থিতিতে পরতো। সড়ক বাতি না থাকায় অপরাধীরা অপরাধ করে পালিয়ে যেতে সক্ষম হতো। পুলিশও অনেক সময় সড়ক বাতির অভাবে সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালন করতে পারত না। এ অবস্থায় উন্নতমানের সাশ্রয়ী এলইডি সৌরবাতি এলাকাকে আলোকিত করেছে।
বাস্তবায়নকারী প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষ জানায়, সৌর বিদ্যুতের এ সড়ক বাতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর কোন চাপই পড়বে না। উল্টো বিদ্যুৎ সাশ্রয় হবে। বিশেষ ধরনের এ সৌর বিদ্যুতের বাতি রক্ষণাবেক্ষণ খুবই সহজ। স্বয়ংক্রিয়ভাবে দিনভর সূর্যের জ্বালানি সংগ্রহ ও সংরক্ষণ করে রাতভর বাতি দেবে। কোন সুইচ নেই। সেন্সরের মাধ্যমে কাজ করবে। সোলার প্যানেল ডাইরেক্ট কারেন্ট (ডিসি) টু ডিসি। প্রতিটি সোলার প্যানেলের সঙ্গে সংযুক্ত করা আছে প্রতিটি ২০ ওয়াটের ৪০টি করে এলইডি বাল্ব, যা স্বচ্ছ আলো দেয়। কয়েক দিন আগেও মতলব উত্তরের রাস্তাঘাট ও গ্রামীণ সড়ক রাতে থাকত ঘুটঘুটে অন্ধকারে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর