দেশে ঘুষ ও দুর্নীতি বন্ধে দুর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর আইন প্রণয়ন ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবিতে মানববন্ধন করেছে ঢাকা মহানগর গণফোরাম। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে দলটির কেন্দ্রীয় নেতাকর্মীদের অংশগ্রহণে এ মানববন্ধন পালন করা হয়। সরকারের কঠোর সমালোচনা করে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির নির্বাহী সভাপতি সুব্রত চৌধুরী বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার দিনে দুপুরে ব্যাংক ডাকাতি করছে। তাদের এমপি-মন্ত্রীদের দ্বারা হাজার হাজার হাওয়া ভবন গড়ে উঠেছে। দেশে অবাধ গণতন্ত্র, স্বাধীন বিচার ব্যবস্থা ও সুশাসনসহ সব প্রতিষ্ঠান ধ্বংস করে দিয়েছে। সেতুমন্ত্রীর সমালোচনা করে গণফোরামের এ নেতা বলেন, দেশে এখন জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু স্লোগান দিয়ে নারী নির্যাতন করা হচ্ছে। জয় বাংলা ধ্বনি দিয়ে দেশে পুলিশি নির্যাতন করা হচ্ছে। সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন দায় নিবেন না।
কাদেরের মতো মন্ত্রী আরো কয়েকজন থাকলে শেখ হাসিনা একদিনও সরকারে থাকতে পারতো না। এই সংকটাপন্ন মুহূর্তে সবার অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি করেন তিনি। ব্যাংক দুর্নীতির সমালোচনা করে গণফোরামের কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক আইয়ুব খান ফারুক বলেন, সব শ্রেণির মানুষের স্বাধীনতা ও নিরাপদ জীবন যাপনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে দেশ স্বাধীন করা হয়েছে। এই দেশে এখন স্বাধীনতা নেই। চারদিকে হত্যা, ধর্ষণ, লুটপাট, অনাচার, হাহাকার ও লুণ্ঠন চলছে। ব্যাংকের টাকা বিদেশে পাচার করছে। এভাবে দেশের টাকা লুটপাট করতে থাকলে একাত্তর সালের মতো জনগণ আবার শরণার্থী হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
দলটির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সফিউর রহমান বাচ্চু বলেন, যারা দুর্নীতিবাজ তাদের বিচার সরকার করছে না। ফলে দুর্নীতিবাজ ও ঘুষখোরদের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। এভাবে এদের সংখ্যা বাড়তে থাকলে তাদের দাপটে দেশে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মনে করেন তিনি।
এছাড়াও মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন, গণফোরামের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ.আ.ম সফিউল্লাহ, দলের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট জগলুল হায়দার আফরিক, তথ্য ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক হারুনুর রশীদ তালুকদার প্রমুখ।