× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ইউটিউবে অডিওক্লিপ / বিধ্বস্ত হওয়ার আগে কন্ট্রোল টাওয়ারের সঙ্গে যে কথোকপথন হয়েছিল পাইলট আবেদের (ভিডিওসহ)

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৬ বছর আগে) মার্চ ১৩, ২০১৮, মঙ্গলবার, ১০:৩৭ পূর্বাহ্ন

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ইউটিউবে একটি অডিও ক্লিপ ছড়িয়ে পড়েছে। বলা হচ্ছে, নেপালের ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিধ্বস্ত হওয়ার পূর্বে ইউএস-বাংলার ফ্লাইট বিএস২১১ বিমানের পাইলট ও ওই বিমানবন্দরের এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের (এটিসি) মধ্যকার কথোপকথন রয়েছে তাতে। তবে ওই অডিও ক্লিপটির যথার্থতা নিশ্চিত হওয়া যায় নি। তা ছাড়া তাতে পাইলট ও এটিসির মধ্যে যে কথোপকথন হয়েছে তাতে এক রকম দ্বিধার প্রকাশ পেয়েছে, যে আসলে কি ঘটতে যাচ্ছিল। বিমানটি কোনদিক দিয়ে অবতরণ করবে, তার অবতরণের অনুমতি আছে কিনা এবং রানওয়েতে কোনো ট্রাফিক আছে কিনা তা নিয়ে এই দ্বিধাদ্বন্দ্ব। ওই কথোপকথনের শুরুতে এটিসিকে বার বার বলতে শোনা যায়, বিএস২১১ ফ্লাইটটিকে রানওয়ে ২০ তে না যেতে বলছে বার বার। সেখান থেকে বিমানের পাইলটকে ‘হোল্ডিং পজিশনে’ চলে যেতে বলা হয়। হোল্ডিং পজিশন মানে হলো আকাশে চক্রাকারে চক্কর দেয়া।
এ সময় এটিসি’কে পাইলট আবিদ সুলতান জানান তিনি ডানদিকে মোড় নিচ্ছেন হোল্ডিং পজিশনে যেতে, যাতে তিনি রানওয়ে ০২ তে অবতরণ করতে পারেন। এ সময় এটিসি থেকে বলতে শোনা যায়, ওকে ঠিক আছে। খুব ভাল কথা। তবে অবতরণ করবেন না। ট্রাফিক ইন অন শর্ট ফাইনাল রানওয়ে ০২।
এ সময় পাইলট আবিদ সুলতানকে বলতে শোনা যায়- আমাদেরকে বলুন কখন আমরা নিরাপদে অবতরণ করতে পারবো।
এরপরেই এটিসি’কে অন্য ট্রাফিকের সঙ্গে তাদের অবস্থান ও নির্দেশনা সম্পর্কে কথা বলতে শোনা যায়। তারা নিজেদের মধ্যে কথা বলেন নেপালি ভাষায়।
এরপর এয়ার কন্ট্রোলার বিএস২১১ এর পাইলটকে বলেন, অবতরণের জন্য রানওয়ে ক্লিয়ার। রানওয়ে ফাঁকা করে দেয়া হয়েছে। রানওয়ে ০২ অথবা ২০ কোনটি বেছে নেবেন আপনি।
তাদের এ জিজ্ঞাসার জবাবে আবিদ সুলতান বলেন, স্যার আমরা ২০ নম্বর রানওয়েতে অবতরণ করতে চাই।
এরপর ২০ নম্বর রানওয়েতে পাইলতকে অবতরণের ক্লিয়ারেন্স দেয় এটিসি। তা মেনে নেন পাইলত এবং অবতরণের নির্দেশনা সম্পর্কে আবারও নিশ্চিত হন।
এরপর বিএস২১১ বিমানের পাইলটের কাছে এটিসি জানতে চায়, তারা কি রানওয়ে দেখতে পাচ্ছে কিনা। জবাবে নেতিবাচক জবাব দেন পাইলট। তখন আবার ডানদিকে মোড় নেয়ার নির্দেশনা দেয়া হয় এটিসি থেকে। পাইলটের কাছে আবার জানতে চাওয়া হয়Ñ নিশ্চিত করে বলুন আপনি কি এখনও রানওয়ে দেখতে পাচ্ছেন না।
জবাবে পাইলট আবিদ সুলতান বলেন, হ্যাঁ। আমরা রানওয়ে দেখতে পাচ্ছি। অবতরণের জন্য সব ক্লিয়ার রাখার অনুরোধ করছি।
বিমানটি অবতরণের ক্লিয়ারেন্স দেয়া হয় এটিসি থেকে। পাইলটকে নিশ্চিত হয়ে নেন। জানতে চান- বিএস২১১ এর জন্য রানওয়ে ০২ ক্লিয়ার।
ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এটিসি থেকে তাকে নিশ্চয়তা দেয়া হয়। বলা হয় ‘ক্লিয়ার টু ল্যান্ড রানওয়ে ০২ বিএস২১১’।
এ সময় আরেকটি বিমানের সঙ্গে এটিসিকে কথা বলতে শোনা যায়। তাদেরকে হোল্ড করতে বলা হয়, যেহেতু বিএস২১১ বিমানটি অল্প সময়ের মধ্যে অবতরণ করবে।
তখন আরো একজনকে কথা বলতে শোনা যায়। তিনি জানতে চান, তার অবতরণের জন্য সব ক্লিয়ার কিনা।
এরপরই এটিটি থেকে বলতে শোনা যায় ‘বিএস২১১ আমি আপনাকে আবারো বলছি টার্ন...।
কিন্তু বাক্যটি তিনি শেষ করেন নি। তারপর যা শোনা যায় ওই টেপে তা হলো এটিসি বিমান বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে কথা বলছে। এ সময় অন্য বিমানগুলোর কাছে বার্তা দেয়া হয়। বলা হয়, বিমানবন্দরটি বন্ধ করা হয়েছে।
ওদিকে বিমানটি বিধ্বস্ত হওয়া নিয়ে পরস্পরবিরোধী বক্তব্য দেয়া হচ্ছে। ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে একজন কর্মকর্তা বিবৃতি দিয়েছেন। তিনি দাবি করেছেন, বিধ্বস্ত বিমানের পাইলট কন্ট্রোলারের নির্দেশনা অনুসরণ করেন নি। তারা দাবি করেন, বিমানটি দক্ষিণ দিক থেকে অবতরণের কথা ছিল। কিন্তু পাইলট বেছে নেন উল্টো দিক। অন্যদিকে ইউরো-বাংলার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইমরান আসিফ এক বিবৃতিতে বলেছেন, ত্রিভুবন আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের এটিসির সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা না থাকায় বিমানটি বিধ্বস্ত হয়েছে।   

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর