একমাত্র ছেলে পিয়াস রায়কে হারিয়ে নগরীর নতুন বাজার এলাকার গফুর সড়কের মধুকাঠি ভবনের বাসিন্দা সুখেন্দ্র বিকাশ রায় ও পূর্ণিমা রায় বাকরুদ্ধ। ভাইকে হারিয়ে বোন শোকে স্তব্দ। নেপালের কাঠমা-ুতে ইউএস বাংলার বিমান দুর্ঘটনায় পিয়াস রায়সহ অর্ধশতাধিক যাত্রী নিহত হয়েছে। গোপলগঞ্জের সায়েরা খাতুন মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস চুড়ান্ত পর্বের পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন পিয়াস। পরীক্ষা শেষে নেপালে ভ্রমণে গিয়ে মর্মান্তিক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে নিহত হয়েছেন তিনি। পিয়াসের বাবা সুখেন্দ্র নলছিটির চন্দ্রকান্দা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও মা পূর্ণিমা বরিশাল সরকারি পলিটেকনিক প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। পরিবার সূত্রে জানা গেছে, পিয়াসের ছিল বিশ^ ঘুরে দেখার নেশা। এর আগেও বিভিন্ন দেশ ঘুরেছে সে।
এমবিবিএস’র ফাইনাল পরীক্ষা দেয়ার পর তাই নেপাল ভ্রমণে যায় সে। গত রোববার রাতে নগরী থেকে লঞ্চযোগে ঢাকা যায়। নৌ-বন্দরে এগিয়ে দিতে গিয়ে শেষবারের মতো দেখা হয় বাবা-মায়ের সঙ্গে। গতকাল সোমবার ইউএস বাংলার ফ্লাইটে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দর থেকে নেপালের উদ্দেশে যাত্রা করেছে। বিকালে পরিবারের সদস্যরা জানতে পারে নেপালের বিমান দুর্ঘটনার কথা। বেসরকারি একটি টেলিভিশনে পিয়াসের ছবি দেখানো হয়েছে বলে পরিবারের এক সদস্য দাবি করে। পিয়াস দুই ভাইবোনের মধ্যে বড়। নেপালের রাজধানী কাঠমা-ুতে ইউএস বাংলার প্লেন দুর্ঘটনায় নিহত পিয়াস রায়ের বাড়ি বরিশালের বাকেরগঞ্জ উপজেলার দাড়িয়াল ইউনিয়নের মধুকাঠি গ্রামে।
[পিসি]