× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাজিরহাট পৌর নির্বাচন /আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থীতা বাতিল, মাঠে বিএনপিসহ ৬ প্রার্থী

বাংলারজমিন

চট্টগ্রাম প্রতিনিধি
১৪ মার্চ ২০১৮, বুধবার

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি উপজেলার নাজিরহাট পৌরসভা নির্বাচনে মেয়র পদে লড়ছেন বিএনপিসহ ৬ প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী। ঋণখেলাপীর দায়ে প্রার্থীতা বাতিল হয়েছে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ মুজিবুল হকের মনোনয়ন পত্র। সোমবার (১২ মার্চ) নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন পর প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর এই তালিকা চুড়ান্ত হয়েছে বলে জানান চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসার ও রিটার্নিং অফিসার মো. মুনির হোসাইন খান। তিনি জানান, মেয়র পদে প্রার্থীতা ছাড়াও সংরক্ষিত তিনটি ওয়ার্ডে মহিলা কাউন্সিলর পদে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন ১১ জন নারী। নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে লড়ছেন ৬৪ জন প্রার্থী।
মেয়র পদে ৬ প্রার্থীরা হলেন- এস এম সিরাজ উদ দৌলা (বিএনপি), আনোয়ার পাশা (স্বতন্ত্র), মো. শাহ জালাল (তরিকত ফেডারেশন), মো. আলী আজম (স্বতন্ত্র), এম এ হায়াত (স্বতন্ত্র) ও মো. সাজ্জাদ হোসেন চৌধুরী (স্বতন্ত্র)। এর আগে ঋণ খেলাপীর দায়ে মেয়র পদে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের একক প্রার্থী মুহাম্মদ মুজিবুল হকের মনোনয়ন পত্র বাতিল করে র্নিবাচন অফিস। পরে মেয়র পদে প্রার্থীতা ফিরে পেতে জেলা প্রশাসকের কাছে আবেদন করেও ব্যর্থ হন তিনি।
মুনির হোসাইন খান জানান, আগামি ২৯ মার্চ নাজিরহাট পৌরসভার নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সোমবার (১২ মার্চ) নির্বাচনে প্রার্থীতা প্রত্যাহারের শেষ দিন।
যাচাই-বাচাইয়ে বাতিল, প্রত্যাহার সহ এবার নির্বাচনে মেয়রপদে ৬ জন, ৩টি সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর পদে ১১জন এবং নয়টি সাধারণ ওয়ার্ডে কাউন্সিলর পদে ৬৪ জন পদপ্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।
তিনি বলেন, পৌরসভার ২২টি কেন্দ্রের ১০৯টি ভোট কক্ষে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। পৌরসভার ৪০ হাজার ৮৫ জন ভোটার রয়েছে। এরমধ্যে ২০ হাজার ৬৭৭ জন পুরুষ এবং ১৯ হাজার ৪০৮ জন মহিলা ভোটার। বর্তমানে প্রতীক বরাদ্দের কাজ চলছে।
এদিকে প্রতীক পাওয়ার আগেই প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা সু-কৌশলে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন বলে জানিয়েছেন ভোটাররা। বিশেষ করে মহল্লায় মিটিং, সমাবেশ এবং ঘরে ঘরে গিয়ে সাক্ষাত, মসজিদ-মন্দিরে অনুদানের মধ্যে সীমাবদ্ধতা রেখেছেন প্রার্থীরা।
এরমধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী মুহাম্মদ মুজিবুল হকের প্রার্থীতা বাতিল হলেও দলটির প্রকৃত প্রার্থী হিসেবে পরিচয় দিয়ে মাঠ চষে বেড়াচ্ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ার পাশা। স্বতন্ত্র থেকে প্রার্থী হওয়া অন্য তিন প্রার্থীও এ সুযোগ হাতছাড়া করছেন না।
তাদের কেউ কেউ নিজেকে আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবেও পরিচয় দিচ্ছেন বলে দলটির একাধিক নেতাকর্মী জানিয়েছেন। তবে এস এম সিরাজ উদ দৌলা বিএনপির একক প্রার্থী হিসেবে প্রচারণা চালাচ্ছেন বলে জানা গেছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর