× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নারায়ণগঞ্জ বিএনপির সেক্রেটারির কোমরে দড়ি, ক্ষোভ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ থেকে
১৪ মার্চ ২০১৮, বুধবার

নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কয়েকটি মামলায় কারাগারে রয়েছেন। মঙ্গলবার আড়াইহাজারের একটি মামলায় তাকে আদালতে হাজির করা হয়। আদালত তার ৩ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। এছাড়া নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার ২টি নাশকতা মামলায় অধ্যাপক মামুন মাহমুদকে ২দিন করে ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মিজানুর রহমানের আদালত। বন্দর থানার আরো একটি মামলায় গ্রেপ্তার ও ১০ দিনের রিমান্ড শুনানি অপেক্ষমাণ আছে। পরে পুলিশ মামুন মাহমুদের হাতে হ্যান্ডকাপ ও কোমরে দড়ি লাগিয়ে গাড়িতে তুলে আড়াইহাজার থানার উদ্দেশ্যে রওনা হন। অধ্যাপক মামুন মাহমুদের কোমরে দড়ি বেঁধে গাড়িতে তোলার সময় আদালতপাড়ায় উপস্থিত বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। এ ঘটনার ব্যাপক সমালোচনা করেন জেলার বিএনপি নেতৃবৃন্দরা।
তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ বিএনপির ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতৃবৃন্দ।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অ্যাডভোকেট তৈমূর আলম খন্দকার বলেন, সরকার তো চালাচ্ছেই পুলিশ। পুলিশ তাই স্বেচ্ছাচারিতা করছে। একটা রাজনৈতিক দলের নেতার প্রতি পুলিশের এমন আচরণ খুবই নিন্দনীয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে এসপি সাহেবের সাথে দেখা করে তাকে হয়রানির না করার ব্যাপারে বলবো।
নারায়ণগঞ্জ মহানগর বিএনপির সিনিয়র সহ-সভাপতি এ্যাডভোকেট সাখাওয়াত হোসেন খান বলেন, মামলায় মামুন মাহমুদের নাম নাই। অথচ তাকে আড়াইহাজারের একটি মামলায় ৩দিন ও ফতুল্লার আরো ২টি মামলায় ২ দিন করে ৪দিন রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। অধ্যাপক মামুন মাহমুদ কোন চোর-ডাকাত নয়। পুলিশ তার সঙ্গে যেই আচরণ করলো এটা ন্যক্কারজনক। একজন ভদ্র কলেজ শিক্ষক রাজনৈতিকের কোমরে দড়ি, এতে আমাদের লজ্জা হয়নি, লজ্জা পেয়েছে গণতন্ত্র।
সাখাওয়াত আরো বলেন, মামুন মাহমুদকে সামাজিক ভাবে হেয় করতে এবং রাজনীতিতে ভালো মানুষকে নিরুৎসাহিত করতেই কোমরে দড়ি লাগানো হয়েছে।
মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এটিএম কামাল বলেন, অধ্যাপক মামুন মাহমুদ ডাকাত নন, তিনি পুলিশের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসীও নন। কোমরে দড়ি বেঁধে একটি রাজনৈতিক দলের সাধারণ সম্পাদককে গাড়িতে উঠানো কখনোই পুলিশের সৌজন্যবোধের ভেতরে পড়ে না। এমন কাণ্ডের তীব্র নিন্দা ও ভর্ৎসনা করছি। সামান্য সৌজন্যবোধ যদি পুলিশের না থাকে তাহলে তারা কতটা অমানবিক হতে পারে তা আজ পরিষ্কার।

গত ২৮শে ফেব্রুয়ারি জামিনে কারাগার থেকে বের হওয়ার সময় তাকে কারাফটক থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এর পর আজ পর্যন্ত ৫ টি পেন্ডিং মামলায় তাকে গ্রেপ্তার ও ৪ মামলায় মোট ৮ দিন রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর