× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জুকারবার্গের দুঃখপ্রকাশ /‘আই অ্যাম রিয়েলি সরি’

তথ্য প্রযুক্তি

অনলাইন ডেস্ক
২২ মার্চ ২০১৮, বৃহস্পতিবার

ক্ষমা চাইলেন ফেসবুক সিইও মার্ক জুকারবার্গ। ফেসবুককে বোকা বানিয়ে ডাটা ফার্ম কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা’র ৫ কোটি ফেসবুক ব্যবহারকারী তথ্য হাতিয়ে নেয়ার ঘটনা সামনে আসে এ সপ্তাহে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণায় অন্যায়ভাবে লব্ধ এসব ব্যক্তিগত তথ্যাদি ব্যবহার করা হয়েছিল। পরে ফেসবুক ওই ডাটা প্রতিষ্ঠানকে তথ্য মুছে ফেলতে বলার পরও তারা তা রেখে দেয় বলে ধারণা করা হচ্ছে। বিষয়টি সামনে আসার পরই শুরু হয় তোলপাড়। ব্যবহারকারীদের তথ্য ও ব্যক্তিগত গোপনীয়তা সুরক্ষিত রাখতে ব্যর্থতার কারণে তোপের মুখে পড়ে ফেসবুক ও জুকারবার্গ। এরপর মার্কিন সময় বুধবার সিএনএনের লরি সেগালকে দেয়া বিশেষ সাক্ষাতকারে ভুল স্বীকার করেন জুকারবার্গ। তিনি বলেন, ‘যেটা হয়েছে তার জন্য আমি অত্যন্ত দুঃখিত।’
৫ কোটি মানুষের ব্যক্তিগত তথ্য চুরি কেলেঙ্কারির বিষয়ে এর আগে ফেসবুকে একটি লেখা পোস্ট করেন।
এতে তিনি স্বীকার করে, তার প্রতিষ্ঠান ‘নানা ভুল’ করেছে। পরে ব্যবহারকারীদের তথ্য রক্ষার্থে প্রতিষ্ঠানটি তাদের নীতিমালায় কিভাবে পরিবর্তন এনেছে তা তুলে ধরেন।

লরি সেগালকে দেয়া সাক্ষাতকারে আফসোস করে জুকারবার্গ বলেন, ‘যদি আমরা ওই পদক্ষেপগুলো আগে নিতাম। হয়তো এক্ষেত্রে এটাই আমাদের সবচেয়ে বড় ভুল হয়েছে।’

সিএনএন এর প্রতিবেদনে বলা হয়, থার্ড পার্টি ডেভেলপাররা কি পরিমাণ তথ্য দেখতে পারবে তা ২০১৪ সালে সীমিত করে দেয় ফেসবুক।
এসসিএল গ্রুপ ও তাদের অ্যাফিলিয়েট প্রতিষ্ঠান কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার কাছে তথ্য তুলে দেয়া ডাটা বিজ্ঞানী অ্যালেক্সান্ডর কোগান ২০১৩ সালে ফেসবুকের একটি অ্যাপ তৈরি করেছিলেন। ওই অ্যাপ ব্যবহারকারী ও তাদের বন্ধুদের অ্যাকাউন্ট থেকে তথ্য সংগ্রহ করে। ওই সময় বিপুল পরিমাণ তথ্য-উপাত্ত দেখার সুযোগ দেয়া হয়েছিল তাকে। ফেসবুক বলছে, কোগান এসব তথ্য সঠিকভাবে সংগ্রহ করলেও, সেগুলো থার্ড পার্টির কাছে দিয়ে ফেসবুকের নীতি লঙ্ঘন করেছেন তিনি। ব্যবহারকারীদের তথ্যাদি শেয়ার হওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে কেমব্রিজ অ্যানালিটিকাকে তা চিরতরে মুছে ফেলার আহ্বান জানায়। তবে, সাবেক এক চুক্তিভিত্তিক কর্মী ক্রিস্টোফার ওয়াইলির ভাষ্য হলো- কেমব্রিজ অ্যানালিটিকা তা করে নি।
এ প্রসঙ্গে জুকারবার্গ বলেন প্রতিষ্ঠানটির মুখের কথা মেনে নেয়ায় এখন অনুশোচনা বোধ করছেন। তিনি বলেন, এটা স্পষ্টত ভুল ছিল।
জুকারবার্গ জানান, কেমব্রিজ অ্যানালিটিকার হাতে যাদের তথ্য গিয়েছিল সেসব ব্যবহারকারীদের তা জানিয়ে দেয়ার পরিকল্পনা রয়েছে ফেসবুকের। আর ওই ঘটনা মানুষকে জানাতে এতো দেরি করা নিয়েও আফসোস করেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর