× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নি র্বা চ নী হা ল চা ল (কুমিল্লা-৪) /কে পাবেন আওয়ামী লীগ বিএনপির টিকিট

শেষের পাতা

মো. মাহমুদুল হাসান, দেবিদ্বার (কুমিল্লা) থেকে
২৩ মার্চ ২০১৮, শুক্রবার

একাদশ জাতীয় নির্বাচনে অংশ নিতে দেবিদ্বার উপজেলা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-৪ আসনে মাঠে নেমেছে আওয়ামী লীগ, বিএনপি, জাপা ও জামায়াতসহ আট সম্ভাব্য প্রার্থী। এ তালিকায় রয়েছে বর্র্তমান ও সাবেক এমপি, আওয়ামী লীগ, বিএনপির একাধিক নেতা ওজামায়াতের এক প্রার্থী। তবে আগামী নির্বাচনে দলীয় টিকিট কার কার হাতে উঠছে এ নিয়ে প্রার্থীদের মধ্যে চলছে আলোচনা।

সম্ভাব্য প্রার্থীরা ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ছুটছেন। ভাল-মন্দ খবর নিচ্ছেন। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম-গঞ্জে, হাটবাজারে নির্বাচনী প্রস্তুতি সভা-সমাবেশে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে এ আসনে মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী সমর্থিত বিএনপি-জামায়াতের প্যানেল বিপুল ভোটে নির্বাচিত হয়েছিলেন। এছাড়াও চার বারের সংসদ সদস্য মঞ্জুরুল আহসান মুন্সীকে ঘিরেই চলছে ২০ দলীয় জোটের মধ্যে আলোচনা।     
বর্তমান এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুলও নিজের আসন ধরে রাখতে মরিয়া।
এলাকায় যাওয়া-আসা আগের তুলনায় বাড়িয়ে দিয়েছেন। বিগত বছরগুলোয় দেবিদ্বারের উন্নয়নের তথ্যচিত্র নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ ও গণসংযোগও করছেন। মনোনয়ন নিয়ে রাজী ফখরুল বলেন, একাধিক প্রার্থী মনোনায়ন চাইতে পারে, চাওয়ার অধিকার সবার আছে, তবে যে প্রার্থী সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় তাকেই মনোয়ন দেয়া উচিত বলে মনে করি। অপরদিকে, মনোনয়ন প্রত্যাশী কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, দলীয় কমান্ড অনুসরণ করবো। দল যাকে মনোনয়ন দিবে তার পক্ষে কাজ করবো।
 
আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন প্রত্যাশীদের মধ্যে রয়েছেন সাবেক এমপি এবিএম গোলাম মোস্তফা, বর্তমান এমপি রাজী মোহাম্মদ ফখরুল, কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রৌশন আলী মাস্টার এবং সদস্য মো. আবুল কালাম আজাদ। বিএনপি থেকে মনোনয়ন প্রত্যাশী সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী, উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রহুল আমিন, বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আওয়াল খান। জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী ইকবাল হোসেন রাজু ও জামায়াতের উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শহীদের নাম শোনা যাচ্ছে।

এদিকে, দেবিদ্বারে বিএনপির রাজনীতিতে গোলমাল, বিভাজন ও ত্রিমুখী গ্রুপ থাকলেও নির্বাচনে আসতে পারে নতুন চমক। কার হাতে উঠছে ধানের শীষের টিকিট? এ নিয়ে বিএনপির একাধিক প্রার্থীর মধ্যেও রয়েছে উৎকণ্ঠা। দলীয় কমান্ড অনুসরণ করে প্রচারণা চালাচ্ছেন তরুণ প্রার্থী বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান মো. রহুল আমিন। আগামী নির্বাচনে প্রার্থী হতে বিএনপির এ নেতা  কাজ করছেন কিছুটা কৌশল অবলম্বন করে। রুহুল আমিন বলেন, বিভিন্ন সময়ে ছুটে গিয়েছি মানুষের দুয়ারে, সাংগঠনিক শক্তি মজবুত, দলের নেতা কর্মীকে উজ্জীবিত করা, উন্নয়নমূলক কাজ করা এবং নির্যাতিত নেতা-কর্মীদের মামলা-মোকদ্দমার ব্যয়ভার বহন করাসহ পরিবার পরিজনের পাশে দাঁড়িয়েছি।

অন্যদিকে, এই আসনের সাবেক এমপি ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সি গত নয় বছরের মধ্যে ৩/৪ বার দেবিদ্বারে আসার চেষ্টা করলেও বাধার মুখে চান্দিনা বা তার আশপাশ থেকেই ফেরত যেতে হয়েছে।

দলের মনোয়ন নিয়ে ইঞ্জিনিয়ার মঞ্জুরুল আহসান মুন্সী বলেন, নিজের কানে শুনেছি শহীদ জিয়াকে স্বাধীনতার ঘোষণা দিতে, সে থেকে দলকে ভালোবেসে এসেছি। ৪ বারের মধ্যে মাত্র ১ বার আমি মনোয়ন চেয়েছি, বাকি ৩ বার দল আমাকে ভালোবেসে মনোনয়ন দিয়েছে। এবারও যদি দল আমাকে মনোনয়ন দেয় আমি নির্বাচন করবো, আর যদি দল অন্য কাউকে দেয় আমি তার জন্যই কাজ করবো। বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবদুল আওয়াল খানও দলীয় মনোনয়নে আশাবাদী।

এদিকে, এ আসনে জামায়াতের প্রার্থীও চূড়ান্ত। তারা দলীয় প্রতীকে নির্বাচন করতে না পারলে অন্য কোনো প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে লড়বেন। জামায়াতের সূত্র জানায়, বর্তমান উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সাইফুল ইসলাম শহীদ জামায়াত থেকে এ আসনে নির্বাচনে যাবেন। অধ্যাপক ইকবাল হোসেন রাজু লাঙল প্রতীকে নির্বাচন করবেন বলে দলীয় সূত্রে জানা গেছে। সে লক্ষ্যে  জাতীয় পার্টির এ  নেতা এলাকায় তৃণমূল নেতাদের নিয়ে বিভিন্ন সভা-সমাবেশ করছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর