কারাগারে থাকা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে কুমিল্লা, নড়াইল ও ঢাকার সিএমএম কোর্টের বেশকিছু মামলায় আইনি মোকাবিলার জন্য খালেদা জিয়ার স্বাক্ষরযুক্ত ওকালতনামা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেছেন তার আইনজীবীরা। গতকাল হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ রিট আবেদন করেন তারা। বিষয়টি নিশ্চিত করে খালেদা জিয়ার আইনজীবী কায়সার কামাল মানবজমিনকে বলেন, ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় আইনি মোকাবিলার উদ্দেশ্যে খালেদা জিয়ার স্বাক্ষরের জন্য আমরা কারাগারে ওকালতনামা পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু কারা কর্তৃপক্ষ ওকালতনামা আমাদের ফেরত দেননি। ওকালতনামায় খালেদা জিয়ার স্বাক্ষরও নেয়া হয়নি। তারা (কারা কর্তৃপক্ষ) আমাদের বলেছেন যে, শ্যোন অ্যারেস্ট না দেখানো পর্যন্ত কোনো মামলারই ওকালতনামা দেয়া যাবে না। এরই প্রেক্ষিতে আমরা কারা কর্তৃপক্ষকে প্রথমে মৌখিকভাবে অনুরোধ জানাই। এতে সাড়া না পাওয়ায় মঙ্গলবার (২০শে মার্চ) কারা কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠানো হয়।
কিন্তু লিগ্যাল নোটিশের জবাব না পাওয়ায় খালেদা জিয়ার স্বাক্ষরযুক্ত ওকালতনামা প্রদানের নির্দেশনা চেয়ে আজ (গতকাল) আমরা হাইকোর্টে রিট পিটিশন দায়ের করি। রোববার এটি মেনশন করা হবে। এরপরই এটি শুনানির জন্য কার্যতালিকায় আসবে।
গত ৮ই ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার রায়ে খালেদা জিয়াকে ৫ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. আখতারুজ্জামান। রায়ের পরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়। বিচারিক আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল ও জামিনের আবেদন করেন খালেদা জিয়া। গত ১২ই মার্চ খালেদা জিয়াকে চার মাসের অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সহিদুল করিমের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ। পরে হাইকোর্টের দেয়া জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা পৃথক লিভ টু আপিল করেন। শুনানি শেষে ১৯শে মার্চ আপিল বিভাগ এক আদেশে লিভ টু আপিল গ্রহণ করে খালেদা জিয়ার জামিন স্থগিত করে ৮ই মে লিভ টু আপিলের শুনানির জন্য দিন ধার্য করেন। একই সঙ্গে আদেশের দুই সপ্তাহের মধ্যে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষকে এবং পরবর্তী দুই সপ্তাহের মধ্যে আসামিপক্ষকে আপিলের সারসংক্ষেপ জমা দিতে নির্দেশ দেন সর্বোচ্চ আদালত।