বসন্তকাল। সিজন্যাল এ্যালার্জিতে আক্রান্ত হওয়ার সময় এটা। সর্দি, হাঁচি, চোখ চুলকান এ্যালার্জির এসব সমস্যাগুলোর কারণে ঘুমানো প্রায় অসম্ভব। আর এসব সমস্যাগুলো রাতে আরো তীব্র আকার ধারণ করে। আসুন জেনে নিই রাতে এ্যালার্জির তীব্রতা বাড়ার পাঁচ কারণ-
(১) এ্যালার্জিতে আক্রান্তদের জন্য রাতে ঘুমাতে যাওয়াটা মোটেই সুখকর না। কেননা মাধ্যাকর্ষণ বলের প্রভাবে নাক থেকে পানি গলার দিকে ঝরতে থাকে। যার ফলে কাশি বেড়ে যায় এবং শ্বাস প্রশ্বাসের হানি ঘটায়। তবে মাথার নিচে বাড়তি বালিশ দিয়ে ঘুমালে কিছুটা স্বস্তি পাওয়া যায়।
(২) শোবারঘর ধুলো-ময়লায় ভরা থাকলে রাতে এ্যালার্জির তীব্রতা বেড়ে যায়। বাড়িতে শোবার ঘরই মানুষের এ্যালার্জিতে আক্রান্ত করার অংশ। বহু মানুষের তাদের শোবারঘরে থাকা জিনিসপত্রের কারণে এ্যালার্জির তীব্রতা বাড়ে। কেননা ধুলোময় শোবারঘর আপনার এ্যালার্জির সাথে আরো কিছু ধুলোময়লা যুক্ত করে। শোবার ঘরে অনেক বেশি খোলামেলা রেখে পুনর্গঠনের মাধ্যমে এই সমস্যা সমাধান করা সম্ভব বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন।
(৩) রাতে এ্যালার্জি বাড়ার আরেকটি অন্যতম কারণ হল রাতে আপনার পোষা প্রাণিটিকে নিজের বিছানায় নিয়ে ঘুমানো। আপনি যদি এ্যালার্জি প্রবণ হয়ে থাকেন, তাহলে রাতে পোষা প্রাণির সাথে ঘুমানো আপনার জন্য উপকারী নয়। আর বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, প্রণিকে সবসময় শোবারঘরের বাইরে রাখাটাই উত্তম।
(৪) এমনটা নয় যে, ঘরের ভিতরের কারণগুলোই আপনার এ্যালার্জির লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে দেয়। এমনও হতে পারে আপনি নিজের অজান্তেই বাইরে থেকে ধুলিকণা আপনার শরীর, চুল, পোশাকের সাথে করে নিয়ে আসছেন। তাই ঘুমাতে যাওয়ার আগে গোসল করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
(৫) আপনি যখন বাইরে কাজ করেন তখন ব্যস্ততার কারণে এই বিষোয়গুলো মাথায় থাকে না। কিন্তু রাতে যখন ঘুমাতে যান, তখন এইসব বিষয়গুলো চিন্তার প্রধান বিষয়বস্তু হয়ে দাঁড়ায়। আর চিন্তার সাথে বিষটির তীব্রতা অনেকসময় বেড়ে যাওয়ার সম্ভবনা থাকে। আর ফলশ্রুতিতে লক্ষণগুলো তীব্রতর হয়ে ঘুমহীন রাত সৃষ্টি করে।
সূত্র: হেলথডটকম
[পিসি]