× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে লড়াই আদালতে

বিশ্বজমিন

কলকাতা প্রতিনিধি
(৬ বছর আগে) এপ্রিল ১০, ২০১৮, মঙ্গলবার, ৭:৫৭ পূর্বাহ্ন

পশ্চিমবঙ্গের পঞ্চায়েত নির্বাচন নিয়ে এখন লড়াই চলছে আদালতে। বিরোধী প্রার্থীদের মনোনয়ন পত্র পেশ করতে শাসক দল যেভাবে বোমা লাঠি নিয়ে বাধা দিয়েছে তারই সুরাহা চেয়ে কলকাতা হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছে বিরোধীরা। রাজ্য নির্বাচন কমিশনের প্রথম বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী সোমবারই ছিল মনোনয়ন জমা দেওয়ার শেষ দিন। কিন্তু বিভিন্ন জেলায় শাসক দলের দুষ্কৃতীরা যে ভাবে বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দিতে বাধা দিয়েছে, তার প্রতিকার চেয়ে ভারতীয় জনতা পার্টি সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিল। গত সোমবার সুপ্রিম কোর্ট মামলা খারিজ করে দিলেও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অভিযোগ প্রতিকারের নির্দেশ দিয়েছে। আদালত জানিয়েছে, হিংসার কারণে যারা মনোনয়ন জমা দিতে পারেননি, তাঁদের মনোনয়ন জমা নেওয়ার ব্যবস্থা কমিশনকে করতে হবে। এরপরেই সোমবার রাতে নির্বাচন কমিশন মনোনয়ন জমা দেবার সময়সীমা একদিন বাড়িয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে জানিয়েছিল মঙ্গলবারও মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। সেই মত জেলাশাসকদের কাছে বিজ্ঞপ্তিও পাঠানো হয়েছিল।
কিন্তু এর তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে তৃনমূল সাংসদ ও আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় নির্বাচন কমিশনারকে একটি ইমেইল পাঠানোর পরই নির্বাচন কমিশনার পাল্টি খেয়ে মঙ্গলবার কালে সোমবারের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে দেন। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে ফের হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। সুপ্রিম কোর্টে বুধবার শুনানি হবে বলে জানানো হলেও কলকাতা হাইকোর্ট এদিন নির্বাচন কমিশনের সময়সীমা বাড়ার বিজ্ঞপ্তি বাতিলের উপর স্থগিতাদেশ দিয়েছে। মনোনয়ন পেশ করা নিয়ে বিরোধীদের যেভাবে হিংসার মাধ্যমে বাধা দেওযা হয়েছে তাকে নির্বাচন কমিশনারও নৈরাজ্য বলে মন্তব্য করেছেন। তবে আদালতে মামলার পর মামলা হওয়ায় নির্বাচন কমিশন এখন দ্বিধাগ্রস্ত। এর আগে কংগ্রেসের করা একটি মামলাতে কলকাতা হাইকোর্ট বিরোধীদের মনোনয়ন জমা দেবার সুযোগ করে দেবার নির্দেশ দিয়েছিল সেই নির্দেশ অবমাননা করা হয়েছে বলে কংগ্রেসও ফের আদালতে গিয়েছে। এদিকে ১লা মে আন্তর্জাতিক শ্রমিক দিবসে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের জন্য কলকাতা হাইকোর্টে বামপন্থী শ্রমিক সংগঠন সসহ ৯টি শ্রমিক সংগঠনও মামলা করেছে।
বিজেপির তরফে মামলাকারী আইনজীবী প্রতাপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেছেন, ‘বিরোধীদের অভিযোগের প্রতিকার করতে হবে এবং যারা মনোনয়ন দাখিল করতে চান, তাঁদের মনোনয়ন জমা নেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে— এই নির্দেশই দিয়েছিল সুপ্রিম কোর্ট। কমিশন সে নির্দেশ মানেনি। হাইকোর্ট আজ নির্দেশ দিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ কমিশনকে মানতে হবে এবং বিরোধীদের অভিযোগের প্রতিকার করতে হবে।’ বুধবার ফের হাইকোর্ট মামলাটি শুনবে।

বিজেপি নেতা রাহুল সিংহের কথায়, ‘আদালত যে ভাবে কমিশনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ দিল, তাতে আবার প্রমাণ হয়ে গেল, কী পরিস্থিতির মধ্যে বাংলায় ভোট চলছে। হাইকোর্টের এই নির্দেশ আমাদের নৈতিক জয়।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর