× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

জাভেদের ইচ্ছে

বিনোদন

স্টাফ রিপোর্টার
১৬ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার

দেশীয় চলচ্চিত্রের এক সময়ের পর্দা কাঁপানো নায়ক জাভেদ এখন অনেকটাই অবসর সময় পার করছেন। ঢাকাই চলচ্চিত্রের অন্য নায়কেরা যেখানে শুধু অভিনয় করেই নিজেদের অবদান রেখেছেন, সেখানে জাভেদ নিজের চরিত্রে অভিনয়ের পাশাপাশি অনেক চলচ্চিত্রে নৃত্য পরিচালক হিসেবেও কাজ করে আলাদা একটি ভূমিকা রেখেছেন। তাই এদেশের নায়কদের কাতারে তার নাম যেমন সম্মান আর শ্রদ্ধার সঙ্গে উচ্চারিত হয় ঠিক তেমনি দেশীয় চলচ্চিত্রের নৃত্য নির্দেশনার ক্ষেত্রেও তার অবদান শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করা হয়। আর এ কারণেই জাভেদ বাংলাদেশের অন্য নায়কের চেয়ে অনেক আলাদা। অভিনয় দিয়ে তিনি এদেশের সিনেমাপ্রেমী দর্শককে মুগ্ধ করেছেন। যদিও এখন তিনি অভিনয় করছেন না। এ প্রসঙ্গে জাভেদ বলেন, ভালো গল্প এবং চরিত্র পেলে অবশ্যই অভিনয় করবো, কেন নয়! জাভেদের ইচ্ছে আছে আবার চলচ্চিত্রের নৃত্য নির্দেশক হিসেবে কাজ করার। কিন্তু তেমন কাজ ব্যাটে বলে মিলছে না বলে করা হয়ে উঠছে না।
একজন নায়ক যখন নাচে বিশেষভাবে পারদর্শী থাকেন তখন অভিনয়ের পাশাপাশি গানগুলোতে তার পারফর্ম্যান্স হয়ে উঠে দুর্দান্ত। জাভেদ নিজের অভিনীত চলচ্চিত্রগুলোতে এমন ক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রেখেছিলেন বলে সে চলচ্চিত্রগুলো দর্শকপ্রিয়তা পেয়েছে। এখনো স্টেজ শো-তে পারফর্ম করেন কিংবদন্তি এই নায়ক, নৃত্য পরিচালক। জাভেদ বলেন, ভালো স্টেজ শোর প্রস্তাব এলে আমি পারফম্যান্স করার চেষ্টা করি। অনেক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি, কাজ
করেছেন নৃত্যপরিচালক হিসেবেও। প্রযোজক হিসেবে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনাও করেছেন। নাম ‘বাহরাম বাদশা’। জাভেদের আসল নাম ইলিয়াস জাভেদ। জন্ম ১৯৪৪ সালে। তার বাবা রাজা মোহাম্মদ আফজাল ছিলেন ধর্মপরায়ণ। তিনি চাইতেন ছেলে ব্যবসায়ী হবে, নয়তো চাকরি করবে। কিন্তু জাভেদের ওইসব দিকে আদৌ মন ছিল না। কীভাবে অভিনেতা হওয়া যাবে এ নিয়েই তিনি ভাবতেন। সিনেমা দেখা, গান শোনাতেই মগ্ন ছিলেন জাভেদ। তার প্রথম অভিনীত চলচ্চিত্র ছিল উর্দু ‘নয়ী জিন্দেগি’। কিন্তু এটি মুক্তি পায়নি। উর্দু চলচ্চিত্র ‘পায়েল’ (১৯৬৬)-এ অভিনয়ের পর থেকেই জাভেদের নাম ছড়িয়ে পড়ে। নাচের দারুণ পারফরমেন্সের পাশাপাশি এ ছবিতে জাভেদ অসাধারণ অভিনয় দেখিয়ে ছিলেন। ছবিতে তার সঙ্গে ছিলেন শাবানা। প্রথমদিকে জাভেদ নৃত্যপরিচালক হিসেবে নিজের সুনাম ছড়ান। ১৯৭৪ সালের পর থেকে তিনি ঢাকার ফিল্মে আবার ব্যস্ত হয়ে ওঠেন। একে একে নায়ক হিসেবে অভিনয় করেন ‘মালকা বানু’, ‘অনেক দিন আগে’, ‘শাহাজাদা’, ‘রাজকুমারী চন্দ্রবান’, ‘সুলতানা ডাকু, ‘আজো ভুলিনি’, ‘কাজল রেখা’, ‘সাহেব বিবি গোলাম’, ‘নিশান’, ‘বিজয়িনী সোনাভান’, ‘রূপের রানী চোরের রাজা’, ‘তাজ ও তলোয়ার’, ‘নরমগরম’, ‘তিন বাহাদুর’, ‘জালিম’, ‘চন্দন দ্বীপের রাজকন্যা’, ‘রাজিয়া সুলতানা’, ‘সতী কমলা’, ‘বাহারাম বাদশা’, ‘আলাদিন আলী বাবা সিন্দাবাদ’ প্রভৃতি ছবিতে। অভিনয়ের পাশাপাশি এসব ছবিতে নৃত্যপরিচালক হিসেবেও তিনি কাজ করেছিলেন। জাভেদ এ পর্যন্ত প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর