× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দেশে লীগ খেলতে না পারায় আক্ষেপ

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
১৬ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার

সাবিনা খাতুন বিদেশি লীগে খেলেছেন আগেও। বাংলাদেশের প্রথম নারী ফুটবলার হিসেবে ভিন দেশের লীগে খেলার রেকর্ডটা তারই। এবার সাবিনার সঙ্গে ভারতীয় লীগে খেলার সুযোগ পেয়েছেন কৃষ্ণা রানী সরকার। ভারতের ঘরোয়া লীগে সেথু এফসির হয়ে শিলং মাতিয়ে গত শুক্রবার দেশে ফিরেছেন এই দুই তারকা ফুটবলার। দেশে ফিরে নিজের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়ে সাবিনা বলেন, আমার বিশ্বাস আমাদের পারফরমেন্সের কারণে আগামীতে আরো বেশি ফুটবলার ভারতে খেলার সুযোগ পাবে। আর কৃষ্ণা এই সফরকে দেখছেন শিক্ষা হিসেবে। ভারতীয় লীগ মাতিয়ে আসলেও নিজ দেশে লীগ হয় না, এ নিয়েও আক্ষেপ কাজ করে এই দুই ফুটবলারের মনে।
সেথু এফসিতে বিদেশি কোটায় খেলেছেন সাবিনা ও কৃষ্ণা।
ছিলেন আরো একজন বিদেশি- ভারতীয় বংশোদ্ভূত বৃটিশ ফুটবলার টটেমহ্যাম হটস্পারের তানভি হ্যানস। তবে প্রথম ম্যাচ বাদ দিলে পরের সব খেলায় সেথু এফসির শুরুর একাদশে খেলেছেন সাবিনা। একজন করে বিদেশি খেলা যাবে। তানভি হ্যানসের আর সুযোগই হয়নি তাই। কৃষ্ণাকেও কাটাতে হয়েছে বেশির ভাগ বেঞ্চে বসে। তবে তিনটি ম্যাচে বদলি হিসেবে খেলেছেন কৃষ্ণা। তাতেই অবশ্য খুশি এই তারকা। ভারতীয় লীগটিতে সেথু এফসির গোল মেশিনে পরিণত হয়েছিলেন সাবিনা খাতুন। তিনি গোল করেন আর দল জেতে। টানা চার ম্যাচে ৬ গোল করে দলকে সেমি ফাইনালে তুলেছিলেন তিনি। গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচে গোল পাননি সাবিনা। দলও জিতেনি, ড্র হয়েছিল ম্যাচ। সেমি ফাইনালে তো হেরেই যায় দল। সেমিফাইনালে দলের হার নিয়ে সাবিনা বলেন, আসলে গ্রুপ পর্বের চেয়ে সেমিফাইনালে আমরা ভালো ফুটবল খেলেছি। মেয়েরা চেষ্টা করেছে। নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত ওদের আটকে রেখেছিলাম। কিন্তু অতিরিক্ত ৩০ মিনিটের একেবারে শেষ মুহূর্তে গোল হজম করি। হারার পরও ওরা খুশি। আমার খেলায় খুশি হয়ে বোনাসও দিয়েছে। লীগে নিজের পারফরমেন্স নিয়ে সাবিনা বলেন, আসলে প্রথম ম্যাচের শেষ কয়েক মিনিট আমি সুযোগ না পেলে হয়তো পরের ম্যাচগুলো খেলার সুযোগই পেতাম না। ওই ম্যাচে তানভিরের পরিবর্তে আমাকে মাঠে নামান কোচ। আমি মিনিট দশেক সুযোগ পেয়ে কয়েকবার ওদের বক্সে বল নিয়ে ঢুকে পড়ি। ম্যাচটিতে আমরা ৫-০ গোলে হারলেও কোচ আমার খেলার প্রশংসা করেন। পরের ম্যাচ থেকে একাদশে সুযোগ পাই আমি। এরপর টানা গোল করার কারণে দল আমার ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়ে। রাইজিং স্টুডেন্টের বিপক্ষে ১-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর কোচ আমাকে ডেকে বলেন সাবিনা ‘ইউ ক্যান ডু ইট’ পরে আমি দুই গোল করলে ২-১-এ ম্যাচ জিতি আমরা। আগামী মৌসুমে সেথু এফসিতে খেলা নিয়ে জাতীয় দলের এই ফরোয়ার্ড বলেন, ওরা আমাদের সঙ্গে আলোচনা করেছে। কিন্তু এখনও অনেক সময় আছে। এই সময়ে ওদের সিদ্ধান্তে পরিবর্তনও হতে পারে। ভারতীয় লীগের মান নিয়ে সাবিনা বলেন, ওদের প্রতিটি দলই প্রায় সমমানের। তাই লীগটাও হয়েছে প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক। এই রকম লীগে খেলার সুযোগ পেলে মেয়েরা দ্রুত জাতীয় দলের জন্য তৈরী হতে পারবে। এজন্য দ্রুত লীগ আয়োজনের তাগিদ দেন সাবিনা-কৃষ্ণা। এই পর্যন্ত দেশে মহিলা ফুটবল লীগ হয়েছে দুইবার। একটি ২০১১ সালে পরবর্তীটি ২০১৩-তে। যেখানে সাবিনার খেলার সুযোগ হলেও এখনও দেশের মাটিতে লীগ খেলতে পারেননি বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৬ দলের অধিনায়ক কৃষ্ণা রানী। তাইতো কৃষ্ণার কাছে ভারতীয় লীগটা অভিজ্ঞতা অর্জনের ক্ষেত্র। সাবিনার কারণে মাঠের বাইরে থাকলেও কৃষ্ণা বলেন, ‘কী করব, খারাপ লেগেছে কিন্তু কিছু করার তো ছিল না। বিদেশি একজনই খেলতে পেরেছে। আর সাবিনা আপু তো খেলেছেন, এতেই আমি অনেক খুশি। আর এখন তো আমার শেখার সময়...।’


অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর