যথাযথ মর্যাদা ও ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের মধ্যদিয়ে সারা দেশে পালিত হয়েছে পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ। সারা বিশ্বের মুসলিমদের মতো এদেশের ধর্মপ্রাণ মুসলমানরাও শনিবার দিবাগত রাতে কোরআনখানি, নফল নামাজ, জিকির-আসকার, ওয়াজ মাহফিল, দোয়া-দুরুদ পাঠ ও বিশেষ মোনাজাতের মাধ্যমে পবিত্র শবে মেরাজ পালন করেন। পবিত্র লাইলাতুল মেরাজ উপলক্ষে শনিবার সন্ধ্যায় ইসলামিক ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদে এক আলোচনা সভা, দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও সারা দেশে মসজিদে মসজিদে মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জীবনী ও মেরাজ রজনীর ঘটনাবলীর ওপর বিশেষ আলোচনা করা হয়। সারারাত ইবাদত বন্দেগীর মধ্যদিয়ে পার করেন মুসলমানরা।
লাইলাতুল মেরাজ বা মেরাজের রজনী। যা পবিত্র শবে মেরাজ হিসেবে আখ্যায়িত হয়। মুসলমানদের কাছে মেরাজ একটি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ রাত।
ইসলামী ধর্মমতে যে রাতে মহানবী মুহাম্মদ (সা.)-এর ঐশ্বরিক উপায়ে অশ্বারোহী ঊর্ধ্বাকাশে গমন করেছিলেন এবং আল্লাহ্র সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন। এটিই হচ্ছে সেই মহিমান্বিত রাত। ইসলামের ইতিহাস অনুসারে হযরত মুহাম্মদ (সা.)-এর নবুওয়াত প্রাপ্তির একাদশ বছর তথা ৬২০ খ্রিস্টাব্দের রজব মাসের ২৬ তারিখ দিবাগত রাতে পবিত্র মেরাজ সংঘটিত হয়। এদিন মুহাম্মদ (সা.) হযরত জিব্রাঈল (আ.)-এর সঙ্গে পবিত্র বায়তুল মুকাদ্দাস হতে সপ্তাকাশের ওপর আরশে আজিমে আল্লাহ্ সুবহানাহু তায়ালার সাক্ষাৎ লাভ করেন এবং পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের হুকুম নিয়ে দুনিয়াতে প্রত্যাবর্তন করেন।
জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন দ্বীনী দাওয়াত ও সংস্কৃতি বিভাগের পরিচালক মো. মোজাহারুল মান্নান। ওয়াজ করেন দারুল উলুম আহসানিয়া কামিল মাদরাসা নারিন্দার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু জাফর মোহাম্মদ হেলালউদ্দিন। অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে সহকারী পরিচালক মো. হারেস সিনহাসহ ইসলামিক ফাউন্ডেশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান শেষে দোয়া ও মোনাজাত পরিচালনা করেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম মুফতি মাওলানা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান।