× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

কিশোরগঞ্জে আওয়ামী লীগ নেতার বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, কিশোরগঞ্জ থেকে
১৬ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার

কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ওমর সিদ্দিক ফারুকী ওরফে ওমর আলী (৬৬)-র বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ উঠেছে। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার এক সদস্য কিশোরগঞ্জে এসে ভিকটিম পরিবারের সদস্যসহ ১৭ জনের সাক্ষ্যও গ্রহণ করে নিয়ে গেছেন। গতবছর ২৪শে সেপ্টেম্বর তদন্ত সংস্থার সমন্বয়কের কাছে জেলা সদরের গাইটাল এলাকার মৃত আব্দুল হামিদ মুন্সির ছেলে এমএ হাকিম ওমর আলীর বিরুদ্ধে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার  কাঁটাবাড়িয়া গ্রামের মৃত কিতাব আলীর ছেলে ওমর আলী একজন তালিকাভুক্ত রাজাকার এবং মুক্তিযুদ্ধকালে বিভিন্ন মানবতা বিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত ছিলেন অভিযোগে উল্লেখ করা হয়েছে। এর প্রেক্ষিতেই ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার সদস্য আতাউর রহমান ১১ ও ১২ই এপ্রিল কিশোরগঞ্জ সার্কিট হাউজে ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেছেন। সাক্ষীরা হলেন- অভিযোগকারী এমএ হাকিম, অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র জেল সুপার জাহাঙ্গীর হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আব্দুল আজিজ, মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিন, মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল আহাদ খান, আকবর হোসেন রেনু, বাবুল মিয়া, আবুল কাশেম, মো. শাহাব উদ্দিন, মো. আব্দুল কাইয়ুম, হুমায়ুন কবীর, পারভেজ মোস্তফা কামাল, মো. মহিউদ্দিন, নয়ন দত্ত, আব্দুল আউয়াল, মো. ছফির উদ্দিন ও নজরুল ইসলাম বুলবুল। অভিযোগ উঠেছে, ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থার কাছে সাক্ষ্য দেয়া কাঁটাবাড়িয়া গ্রামের নয়ন দত্তের জেঠা যুগেশ চন্দ্র দত্ত, যুগেশ দত্তের সম্বন্ধি সুধাংসু দাস, প্রতিবেশি সুধীর দাস ও বিনোদ বিহারী রায়সহ ৬ জনকে তুলে নিয়ে ওমর আলী হত্যা করেছেন। কিন্তু তাদের লাশ আর পাওয়া যায়নি।
অপর সাক্ষী শহরতলির সাদুল্লাচরের বাসিন্দা নজরুল ইসলাম বুলবুলের বাবা আব্দুর রাজ্জাক হেলু মিয়াকে ধরে নিয়ে হত্যা করা হয়। সদর উপজেলার সগড়া এলাকার নবীন মোক্তারকেও হত্যা করা হয়। আরেক সাক্ষী মুক্তিযোদ্ধা মাহতাব উদ্দিনের দুই মামাশ্বশুর শহরতলির বড়ভাগ গ্রামের শফিউদ্দিন ও আব্দুর রউফকেও ওমর আলী হত্যা করেছে বলে সাক্ষ্য দেয়া হয়েছে। এ ব্যাপারে তদন্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমানের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, এটা প্রাথমিক তদন্ত। এ সংক্রান্ত বই এবং কিছু প্রামাণ্য কাগজপত্র সংগ্রহ করে নিয়ে গেছি। পরবর্তীতে আরো তদন্ত করা হবে। অভিযুক্ত ব্যক্তির পক্ষ থেকেও বক্তব্য জানা হবে এবং তার কোনো তথ্য থাকলে সংগ্রহ করে তার বিরুদ্ধে পাওয়া তথ্যের সঙ্গে যাচাই করা হবে। ওমর আলীর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে সেই পর্যায়ে মামলা রুজু এবং গ্রেপ্তারের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেয়ার প্রশ্ন আসবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর