× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নওগাঁয় পুলিশের সোর্সকে পিটিয়ে হত্যা

বাংলারজমিন

নওগাঁ প্রতিনিধি
১৬ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার

নওগাঁ সদর উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামে শাহিন আলম (২৮) নামে পুলিশের এক সোর্সকে পিটিয়ে হত্যার অভিযোগ উঠেছে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে। শনিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে উপজেলার বোয়ালিয়া গ্রামের মাদরাসা পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত শাহিন আলম ওই গ্রামের মৃত তজু খন্দকারের ছেলে।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শাহিন আলম একজন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী এবং পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন। পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করায় এলাকার পুলিশি প্রভাব খাটাতো শাহিন। পাশাপাশি বিভিন্ন সময় মাদক ব্যবসায়ীদের কাছ থেকে পুলিশের ভয় দেখিয়ে মাসোহারা টাকা (চাঁদা) তুলে দিত পুলিশের হাতে। এ নিয়ে মাদক ব্যবসায়ীদের সঙ্গে শাহিন আলমের দ্বন্দ্ব চলে আসছিল।

ওই গ্রামের বিষু ইসলামের ছেলে শিবলু ইসলাম, শামছুল আলমের ছেলে জুয়েল হোসেন ও সামাদ হোসেনের ছেলে রানা হোসেনের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ তাদের আড়াই মাস আগে আটক করে জেল হাজতে পাঠায়। ওই তিনজন মাদকের মামলায় গত ২-৩ মাস কারাভোগ করে সপ্তাহ খানেক আগে ছাড়া পেয়ে বাড়িতে আসেন।

তারা পুলিশের হাতে আটক হওয়ার ঘটনায় ওই তিন মাদক ব্যবসায়ী শাহিন আলমকে সন্দেহ করে শাসিয়ে আসছিলেন বলে এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে।
এমতাবস্তায় শনিবার সন্ধ্যায় গ্রামের রাস্তায় শাহিনকে একা পেয়ে গাছের ডাল ও হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে গুরুতর জখম করেন। এ সময় এলাকাবাসী এগিয়ে এলে তারা পালিয়ে যান। পরে শাহিন আলমকে উদ্ধার করে নওগাঁ সদর হাসপাতালে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

নওগাঁ সদর থানার  ওসি সমিত কুমার কুণ্ড বলেন, শাহিন পুলিশের সোর্স হিসেবে কাজ করতেন কি না বা এলাকায় চাঁদা তুলতেন কিনা জানা নেই। তবে পুলিশের সাথে খুব ভালো শাহিনের সখ্য ছিল। শাহিন এলাকায় ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী হিসেবে পরিচিত।

তিনি আরো বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে কয়েকজনের নাম পেয়েছি। নিহতের ময়নাতদন্ত করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তারা পলাতক রয়েছে।  এ বিষয়ে থানায় হত্যা মামলা হয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর