× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মৌলভীবাজারে পানি সংকটে হাসপাতালের রোগীরা

বাংলারজমিন

মৌললভীবাজার প্রতিনিধি
১৬ এপ্রিল ২০১৮, সোমবার

মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালে পানি সংকটে রোগীদের চরম ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। গত তিন ধরে হাসপাতালের গভীর নলকূপ নষ্ট হওয়ায় হাসপাতালে অপারেশন, ডায়ালিসিসসহ রোগীদের নিত্য নৈমিত্তিক কাজে অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়। এ সমস্যা নিরসনে পৌরসভা কর্তৃপক্ষ এগিয়ে আসলে অপারেশন ও ডায়ালিসিসের কার্যক্রম কোনো মতে চলছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। জানা যায়, মৌলভীবাজার  ২৫০ শয্যার হাসপাতালের পাম্প হাউজের গভীর নলকূপটি গত ১৩ই এপ্রিল থেকে নষ্ট হয়ে যায়। ফলে পানি সমস্যার কারণে বিঘ্ন ঘটছে অপারেশন ও ডায়ালিসিস। এতে রোগীরা পড়ছেন বিপাকে। সীমাহীন ভোগান্তিতে পড়েন হাসপাতালে ভর্তি নারী ও শিশু রোগীরা। এ অবস্থা নিরসনে পৌর মেয়র জলুর রহমান গত ১৪ই এপ্রিল তাৎক্ষণিক প্রকৌশলীর মাধ্যমে পৌরসভার লাইন থেকে হাসপাতালে পানি সরবরাহের ব্যবস্থা করেন।
হাসপাতালের একটি সূত্র জানায়, পৌরসভা কর্তৃপক্ষ যে পরিমাণ পানি সরবরাহ করছে তাতে চিকিৎসকরা অপারেশনসহ গুরুত্বপূর্ণ কাজ করতে পারলেও রোগী ও কোয়ার্টারে বসবাস করা বাসিন্দাদের নিত্যদিনের কাজে মারাত্মক অসুবিধা হচ্ছে। বাইর থেকে পানি এনে বাথরুমের প্রাত্যহিক কাজ সারছেন বলে জানান হাসপাতালের রোগী সদর উপজেলার ভাদগাঁও গ্রামের আনোয়ারা বেগম। একইভাবে ভোগান্তির কথা জানালেন হাসপাতালে ভর্র্তি শহরতলীর বর্ষিজোড়া গ্রামের ছমির মিয়া, গাইনি ওয়ার্ডের রাজনগরের অধিবাসী নূরেছা বেগমসহ অনেকে। হাসপাতাল সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের দু’টি পাম্পের মধ্যে একটি পাম্প দীর্ঘদিন ধরে অকেজো অবস্থায় পড়ে রয়েছে। সচল অপর পাম্প হাউজের গভীর নলকূপটি জরাজীর্ণ থাকায় ৫৭ লাখ টাকা ব্যয়ে নতুন আরেকটি গভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন দেয় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়। এখনো প্রক্রিয়া সমাপ্ত হয়নি। নলকূপটি স্থাপন হলে পানি সমস্যার সাধান হবে বলে জানায় সূত্র। মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যার হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. পার্থ সারথী দত্ত কানুনগো মুঠোফোনে মানবজমিনকে বলেন, হাসপাতালের গভীর নলকূপটি নষ্ট হওয়ায় পৌরসভার মেয়রের সহযোগিতায় তাদের লাইন থেকে সরবরাহকৃত পানিতে হাসপাতালের কার্যক্রম চলছে।
তবে তা পর্যাপ্ত না হওয়ায় রোগীদের পানি ব্যবহারে সাশ্রয়ী হতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নতুন একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রণালয়। গণপূর্তবিভাগ ইতিমধ্যে টেন্ডার আহ্বান করলেও কেউ সাড়া দেয়নি। দ্বিতীয়বার টেন্ডার আহ্বানের প্রক্রিয়া নিচ্ছে গণপূর্ত বিভাগ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর