নওগাঁ শহরে বেসরকারি ক্লিনিক শাহ নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে ভুল অপারেশনে ৮ বছরের শিশু আল এখলাস মারা যাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ঘটনার পর ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে। গতকাল সকালে স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ক্লিনিক ভাঙচুর করেছে। শনিবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে শহরের স্টার্ফ কোয়ার্টারের সামনের ক্লিনিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহত শিশু আল এখলাস জেলার আত্রাই উপজেলার দিঘা উত্তরপাড়া গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে।
নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার দুপুর ২টার দিকে আল এখলাসকে ওই ক্লিনিকে ভর্তি করানো হয়। এরপর রাত ১০টার দিকে শিশুটির টনসিল অপারেশন করেন নাক, কান ও গলা রোগ বিশেষজ্ঞ ডা. আসাফুদৌল্লা। আধা ঘণ্টা পর অপারেশন শেষে রোগীকে বেডে রাখা হয়। কিন্তু দ্বিতীয়বার আবারো রোগীকে অপরেশন রুমে নেয়া হয়।
রোগীর অবস্থা খুবই আশঙ্কাজনক বলে রাত ১২টার দিকে রেফার্ড করে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ তড়িঘড়ি করে নিজেরাই অ্যাম্বুলেন্স ডাকে। এরপর রোগীকে অ্যাম্বুলেন্সে উঠানোর পর ক্লিনিকের সব দরজায় তালা দিয়ে রাখা হয়। ঘটনার পর থেকে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ পালিয়ে গেছে। নিহতের বাবা শুকুর আলী জানান, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে এখলাসকে নেয়া হলে সেখানকার কর্তব্যরত চিকিৎসকগণ তাদের জানান এখলাস ৬/৭ ঘণ্টা আগে মারা গেছে। এরপর গতকাল সকালে এখলাসকে নওগাঁয় ওই ক্লিনিকে নিয়ে এলে রোগীর আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয়রা এসে ভিড় জমায়।
এ সময় নিহতের স্বজন ও স্থানীয় উত্তেজিত জনতা ক্লিনিক ভাঙচুর করে। রোগীর স্বজনদের অভিযোগ অপারেশন থিয়েটারে ভুল অপারেশনে শিশু আল এখলাস মারা গেছে।
নওগাঁ সদর মডেল থানার ওসি সুমিত কুমার জানান, এ ব্যাপারে এখলাসের মা কামরুন্নাহার বাদী হয়ে ওই ক্লিনিকের মালিক, ডাক্তার ও নার্সকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেছেন। মামলার আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার করার চেষ্টা চলছেও বলে জানান ওসি সুমিত কুমার।