পশ্চিমবঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আইনি জটিলতা বহাল থাকল। কলকাতা হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ের অপেক্ষা না করে ডিভিশন বেঞ্চে শাসক তৃণমূল কংগ্রেস ও নির্বাচন কমিশনের মামলাকে কার্যত খারিজ করে দেয়া হয়েছে। আজ সোমবার বিচারপতি বিশ্বনাথ সমাদ্দার ও বিচারপতি অরিন্দম মুখোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ জানিয়ে দিয়েছেন, সুব্রত তালুকদারের সিঙ্গেল বেঞ্চেই পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত সব মামলার শুনানী হবে। গত ১২ই এপ্রিল বিচারপতি তালুকদার বিজেপি ও অন্যান্য দলের দায়ের করা মামলার প্রেক্ষিতে নির্বাচন প্রক্রিয়া ১৬ই এপ্রিল পর্যন্ত স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছিলেন। সেই স্থগিতাদেশকে চ্যালেঞ্জ করেই ডিভিশন বেঞ্চে গিয়েছিল নির্বাচন কমিশন ও তৃণমূল কংগ্রেস। আজ সোমবার অবশ্য সিঙ্গল বেঞ্চের বিচারপতি তালুকদার জানিয়েছেন, ডিভিশন বেঞ্চের রায় দেখে তিনি মঙ্গলবার মামলার শুনানী করবেন। তাই নির্বাচন প্রক্রিয়া স্থগিতের মেয়াদ আরও একদিন বাড়ল। পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দেয়াকে ঘিরে রাজ্য জুড়ে ব্যাপক হিংসা ও বিরোধীদের সশ¯্র বাধাদানের অভিযোগে বিরোধীরা আদালতের দ্বারস্থ হয়।
সুপ্রিম কোর্টেও আবেদন করা হযেছিল তবে গত ১১ই এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট নির্বাচন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করবে না জানিয়েও গোটা বিষয়টি কলকাতা হাইকোর্টের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল। এদিন অবশ্য ডিভিশন বেঞ্চের বিচারপতিদ্বয় সিঙ্গেল বেঞ্চে মামলার শুনানী যত দ্রুত সম্ভব নিষ্পত্তি করার অনুরোধ জানিয়েছে। এই রায়ের পর বিজেপির তরফে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে মুকুল রায় বলেছেন, আমাদের নৈতিক জয় হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের ঘোষিত সুচি অনুযায়ী, ১, ৩ ও ৫ই মে নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। আর ফল প্রকাশের কথা ছিল ৮ই মে। নির্বাচনের মনোনয়ন ও স্ক্রুটিনির কাজও শেষ হয়ে গিয়েছিল। এরপরেই বিরোধী দলগুলি আদালতে যাওয়ার ফলে আইনি জটিলতা তৈরি হয়।