উপজেলার ধারাবাজার চৌরাস্তা মোড়ে ভ্যাকু মেশিন দিয়ে মাটি উত্তোলনের সময় চারটি সীমানা পিলার পেয়েছেন এ নিয়ে সাধারণ জনতার মাঝে চলছে কানাঘুষা। কারও ঘুম হারাম। আবার কেউ কোটিপটি হওয়ার স্বপ্নে বিভোর। পিলার পাওয়া গেছে চারটি এমন গুঞ্জন রয়েছে মাঠে। কিন্তু বাস্তবে মিলেছে দুটি। পরে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বের হয়েছে আরেকটি। এ নিয়ে দাঁড়ালো তিনে। এখনো রয়েছে নিখোঁজ একটি।
অপরদিকে কি রয়েছে বৃটিশ আমলে পুঁতে রাখা এই পিলারে? তা নিয়েও রয়েছে উৎসুক জনতার কৌতূহল। ঘটনাস্থলে পুলিশ গেল। নির্বাহী অফিসারের নজরেও গেল বিষয়টি। শেষ পর্যন্ত পিলার আসে কার ঘরে। প্রশাসন নাকি পাবলিক? তা দেখার অপেক্ষায় রয়েছেন সাধারণ জনগণ।
সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার রাত দুটায় মাঝিয়ালের তানবীর আহমেদ বুলবুল মিয়ার সহযোগিতায় মো. আনোয়ার হোসেন প্রায় ৩০ জনকে নিয়ে পিলার তোলেন। পরে হয় ভাগাভাগি। গ্রামপুলিশ মো. আব্দুল লতিফ মিয়া সেও নেয় একটি। বুলবুল একটি। আনোয়ার একটি। স্থানীয় লোকজন ও গ্রামপুলিশ আব্দুল লতিফ বলেন, রাত দুটায় মাঝিয়ালের আনোয়ার মাটি খননকৃত জায়গা থেকে একটি পিলার নিয়ে যায়। তার পরে সে নিজেও একটা পিলার নেন বলে স্বীকার করেন। সে আরো জানান, ৩০ জন মিলে একটা পিলার উত্তোলন করেছে যার ওজন প্রায় ১৫ থেকে ২০ মণ। বিষয়টি জানাজানি হলে, বিভিন্ন এলাকা থেকে আগত লোকজন একনজর পিলারটি দেখার জন্য ভিড় জমাতে থাকেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জাকির হোসেন জানান, বিষয়টি সরজমিন তদন্ত করে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেব। হালুয়াঘাট থানার ওসি মো. জাহাঙ্গীর আলম তালুকদার জানান, বিষয়টি সরজমিনে দেখলাম তবে পিলারগুলো এলেই বৃটিশ আমলের কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ইতিমধ্যে দুটি পিলারের খোঁজ পেয়েছি। বাকিগুলোও খুঁজে বের করা হবে। স্থানীয়রা জানান, এখানে রাতে পিলারের হরিলুট চলছে। চার পিলারের মাঝে তিনটি পাওয়া গেলেও বুলবুলের পিলার নিয়ে রহস্য সবার মাঝে। স্থানীয়দের দাবি ওই পিলারটিও উদ্ধার করা হোক।