সিলেটের গোয়াইনঘাট উপজেলার আমির আলী হত্যায় ১৫ জনের নাম উল্লেখ করে ৪০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। সোমবার দুপুরে সিলেটের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও আমল গ্রহণকারী আদালত ৪-এ মামলাটি দাখিল করা হয়। আদালতের বিচারক আতিকুল হায়দার মামলাটি গ্রহণ করে এফআইআর গণ্যে আদালতে প্রেরণের জন্য গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে নির্দেশ প্রদান করেন। আদালতে মামলাটি দাখিল করেন নিহত আমির আলীর স্ত্রী জয়নব বিবি। মামলায় আসামিরা হলেন, গোয়াইনঘাট থানার মিত্রিমহল গ্রামের মৃত সাজিদ আলীর ছেলে আব্দুস সোবহান, মৃত মুসলিম আলীর ছেলে মানিক, আব্দুস সোবহানের ছেলে আশরাফুল আমিন, আল আমীন, ফখরুল আমীন, মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে হায়দার আলী, মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে কাচা মিয়া, মছদ্দর আলীর ছেলে আরশাদ আলী, মৃত সাজিদ আলীর ছেলে আব্দুস শহিদ, আতা, আব্দুল লতিফের ছেলে আসাদুল, মৃত মচই মিয়ার ছেলে ফেরাই মিয়া, কালা মিয়ার ছেলে চান মিয়া, মৃত ইরাপান আলীর ছেলে ইউনুছ ও আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে আলী আমজদ। তাছাড়া এই মামলায় ২৫ জনকে অজ্ঞাত রাখা হয়েছে। এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ২৪শে মার্চ গোয়াইনঘাটের বহর গ্রামের জামাল উদ্দিনের জায়গাকে কেন্দ্র করে মিত্রিমহল ও বহর গ্রামের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এ নিয়ে আব্দুস সোবহান বাদী হয়ে আমির আলীকে ১৪নং আসামি করে মোট ৯৭ জনের নাম উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়।
এ মামলায় জামিনের জন্য আদালতের উদ্দেশে বাহির হন আমির আলী। কিন্তু ওইদিন দুপুরে গোয়াইনঘাট উপজেলার ১নং রুস্তুমপুর ইউনিয়নের দিঘির হাওরে আমির আলীর রক্তাক্ত মৃতদেহ পড়ে আছে বলে আব্দুস সোবহান ফোন করেন নিহত আমির আলীর পরিবারের লোকজনের কাছে। এ খবর পেয়ে মামলার সাক্ষী জয়নব বিবি দিঘির হাওরে গিয়ে আমির আলীকে রক্তাক্ত জখম অবস্থায় অ্যাম্বুলেন্স যোগে স্থানীয়দের সহায়তায় সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যান। সেখানে ডাক্তাররা পরীক্ষা নিরীক্ষা শেষে আমির আলীকে মৃত ঘোষণা করেন। পরবর্তীতে জয়নব বিবি খোঁজ নিয়ে জানেন পূর্বশত্রুতার জের ধরে তাকে হত্যা করা হয়েছে। এ বিষয়ে গোয়াইনঘাট থানায় এজাহার দাখিল করা হলে থানা কর্তৃপক্ষ মামলা নিতে অনীহা প্রকাশ করেন। যার ফলে সোমবার আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। এ ব্যাপারে মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী ড. ফৌজিয়া সুলতানা জানান, আমির আলীকে হত্যার অভিযোগে ১৫ জনের নাম উল্লেখ ও ২৫ জনকে অজ্ঞাত করে আদালতে মামলা করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে এফআইআর গণ্যে আদালতে প্রেরণের জন্য গোয়াইনঘাট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি)কে নির্দেশ প্রদান করেছেন।