× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মায়ের পরকীয়ায় স্কুলছাত্রকে পুড়িয়ে হত্যার প্রতিবাদে মানববন্ধন

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ও আড়াইহাজার প্রতিনিধি
১৭ এপ্রিল ২০১৮, মঙ্গলবার

আড়াইহাজারের বাড়ৈপাড়া এলাকায় পরকীয়ায় আসক্ত মা ও প্রেমিকের নির্মমতার শিকার তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র হৃদয় (৯) হত্যার প্রতিবাদে দোষীদের গ্রেপ্তার ও ফাঁসির দাবিতে মানববন্ধন করেছে উপজেলার ৩৫নং বাড়ৈপাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা। সোমবার বেলা ১১টার দিকে ৩৫নং বাড়ৈপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সংলগ্ন সড়কে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অন্যান্য কয়েকটি বিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক ও উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির নেতৃবৃন্দ  অংশ নেন। ১৩ই এপ্রিল রাতে শেপালী আক্তার ও তার পরকীয়া প্রেমিক রাশেদুল ইসলাম মোমেন ঘুমন্ত দুই শিশুকে কাঁথা মুড়িয়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। এতে ঘটনাস্থলে শেপালী আক্তারের বড় ছেলে হৃদয় মারা যায় এবং ছোট ছেলে জিহাদ আগুনে মারাত্মকভাবে ঝলসে যায়। তারা ওই বিদ্যালয়ের তৃতীয় ও প্রথম শ্রেণির ছাত্র। মানববন্ধনে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করে বক্তারা বলেন, ঘটনার ৫ দিন পেরিয়ে গেলেও পুলিশ মূল অভিযুক্ত রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে গ্রেপ্তার করছে না। মানববন্ধনে আগুনে ঝলসানো শিশু জিহাদকে উপস্থিত করা হলে অনেকেই কান্নাকাটি করেন। এলাকাবাসী রাশেদুল ইসলাম মোমেনকে দ্রুত গ্রেপ্তারের দাবি জানান।
মানববন্ধনে অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, বিদ্যালয়ের ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি জয়নাল আবেদীন, ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক কামরুজ্জামান, আড়াইহাজার থানা প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি লোকমান হোসেন, আড়াইহাজার মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জাহাঙ্গীর আলম, সাইফুল ইসলাম, নজির মেম্বার, খোকন, বাদল প্রমুখ।
এদিকে নিহত হৃদয়েরর দাদা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ ঘাতক মা শেপালীকে গ্রেপ্তার করতে পারলেও পলাতক রয়েছে রাশেদুল ইসলাম মোমেন। এদিকে ১৪ই এপ্রিল হত্যার দায় স্বীকার করে শেপালী আক্তার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর