শেরপুর শহরের প্রাণকেন্দ্র ডিজে হাইস্কুল খেলার মাঠে মাসব্যাপী আয়োজন করা বৈশাখী মেলার জন্য সরকারি অনুমতি মিলেনি। বৈশাখী মেলাটি অবৈধ ঘোষণা হওয়ায় গত ১৪ই এপ্রিল পহেলা বৈশাখ সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ লাইন বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে। শেরপুর উপজেলা পরিষদ মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান মোছাঃ ফিরোজা খাতুন নারী উন্নয়ন ফোরামের নামে এই মেলার আয়োজন করেন। মাসব্যাপী চলার নামে শেরপুর বৈশাখী মেলার মাঠে ৫৮টি দোকান ঘর, খেলনা-দোলনা, ভ্যারাইটি শো, বিচিত্র নাচ, জাদুসহ জীবিত পুতুল নাচের মঞ্চ প্রস্তুত করা হয়েছে। নারী উন্নয়ন ফোরামের মেলা কমিটি স্কুলের খেলার মাঠ বেদখল দিয়ে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অত্যন্ত গোপনে ঢেউটিনের ছাউনি আর বেড়া দিয়ে স্টল বরাদ্দ দিয়ে ইতিমধ্যে বেশ কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিকে সরকারি অনুমতি বিহীন বাংলা নতুন বছরের প্রথম দিনে মেলা শুরু না হওয়ায় অনেকটা হতাশায় পড়েছে স্থানীয় কিছু ব্যবসায়ী। শেরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ আলহাজ মো. রফিকুল ইসলাম জানান, শেরপুরে বৈশাখী মেলার অনুমতি মিলেনি বগুড়া জেলা প্রশাসনের দপ্তর থেকে। মেলার আবেদনের প্রেক্ষিতে প্রাক তদন্তে ২ সপ্তাহের জন্য সুপারিশ করা হয়েছিল।
শেরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সিরাজুল ইসলাম জানান, বৈশাখের দ্বিতীয় দিন ১৫ই এপ্রিল পর্যন্ত শেরপুরে বৈশাখী মেলার জন্য সরকারি অনুমতি পাওয়া যায়নি। সরকারি অনুমতি ছাড়া কোনো মতেই মেলা চালানো যাবে না। মেলা কমিটির আয়োজনকারী নারী উন্নয়নের সভাপতি শেরপুর উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ফিরোজা খাতুন জানায়, গত ৮ তারিখে শেরপুরের এক সভায় বগুড়ার ডিসি সাহেব মৌখিকভাবে শেরপুরে বৈশাখী মেলার অনুমতি দিতে চায়। কিন্তু এখনো দেননি। আগামীকাল ১৬ই এপ্রিল অনুমতি পাওয়া যাবে। শেরপুরের বৈশাখী মেলায় স্টল বরাদ্দ দিয়ে কত টাকা আয় করেছেন, এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কত টাকা আদায় করা হয়েছে, সেটা আমার জানা নাই। ঢাকার এক ব্যবসায়ী হুমায়ন ভাই জানেন। তিনি মেলার সমস্ত টাকা আয়-ব্যয় করছেন। এদিকে মেলায় আসা দোকানি আবদুল মতিন জানায়, মাসব্যাপী সরকারি অনুমতি মিলেছে এমন সব মিথ্যা প্রলোভন দিয়ে আমাকে শেরপুর বৈশাখী মেলায় দোকান বরাদ্দ নেয়ার জন্য হুমায়নের নির্দেশে ১২ হাজার টাকা নিয়ে প্রতারণা করছেন তারা। একই রকমের অসংখ্য অভিযোগ মেলায় আসা দোকানিদের। তারা এভাবে বেশ কয়েক লাখ টাকা হাতিয়ে নিয়ে গা-ঢাকা দিয়েছেন।