× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ফিলিস্তিনি রকেট বিজ্ঞানীকে খুন করেছে মোসাদ!

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ২২, ২০১৮, রবিবার, ৩:০৭ পূর্বাহ্ন

ফিলিস্তিনি একজন রকেট বিজ্ঞানীকে হত্যা করা হয়েছে মালয়েশিয়ার রাজধানী কুয়ালালামপুরে। এর জন্য ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদকে দায়ী করা হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির নাম ফাহদি মোহাম্মদ আল বাতশা (৩৫)। তিনি ইউনিভার্সিটি কুয়ালালামপুরে একজন লেকচারার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই ইউনিভার্সিটি থেকে বলা হয়েছে তিনি পাওয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে পারদর্শী। শনিবার সকালে তিনি ফজরের নামাজ পড়তে বের হন। এ সময় মোটরসাইকেলে করে অস্ত্রধারীরা এসে কাছ থেকে তাকে কমপক্ষে ১০ রাউন্ড গুলি ছোড়ে। এর মধ্যে কমপক্ষে চারটি গুলি লাগে তার মাথায় ও বুকে।
ফলে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মারা যান। এ ঘটনায় মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা বলছেন, এমন খুন পেশাদার খুনির কাজ। মোহাম্মদ আল বাতশা ঘটনাস্থলে পৌঁছানোর প্রায় ২০ মিনিট আগেই ঘটনাস্থলে গিয়ে ওৎ পাতে খুনিরা। এখন তাদেরকে চিহ্নিত করতে মালয়েশিয়ার কর্মকর্তারা ওই এলাকার সিসিটিভির ফুটেজ পরীক্ষা করছে। ওদিকে মোহাম্মদ আল বাতশার পরিবার দাবি করেছেন, নিহত বাতশা ফিলিস্তিনের যোদ্ধা গোষ্ঠী হামাসের একজন সদস্য ও প্রফেসর। তাকে হত্যা করেছে ইসরাইলের গোয়েন্দা সংস্থা মোসাদ। নিহত বাতশা গত ১০ বছর ধরে বসবাস করছিলেন মালয়েশিয়ায়। তার রয়েছে তিন সন্তান ও এক স্ত্রী। পরিবারের সদস্যরা চাইছেন, তার মৃতদেহ গাজার উত্তরে জাবালিয়ায় নিয়ে দাফন করতে। তাকে হত্যার জন্য পরিবার মোসাদকে অভিযুক্ত করলেও এ বিষয়ে কথা বলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন ইসরাইলি কর্মকর্তারা। ওদিকে আল বাতশাকে ‘বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থা’ টার্গেট করেছিল এমন ধারণা নিয়ে কাজ করছে মালয়েশিয়ার পুলিশ। তবে তারা এখনও এ হামলার জন্য ইসরাইলকে দায়ী করে নি। মোহাম্মদ আল বাতশাকে একজন ইলেক্ট্রিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার এবং রকেট তৈরির বিশেষজ্ঞ বলে আখ্যায়িত করেছেন মালয়েশিয়ার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আহমেদ জাহিদ হামিদি। মালয়েশিয়ার কর্মকর্তাদের মতে, আন্তর্জাতিক একটি সম্মেলনে তুরস্কে যাওয়ার কথা ছিল মোহাম্মদ আল বাতশার। এর মাত্র কয়েক ঘন্টা আগে তাকে গুলি করা হয়। তারা আরো বলছেন, এ অভিযানে অংশ নেয় দু’সন্দেহভাজন। তাদেরকে ইউরোপীয়ান বলে মনে হচ্ছে। এ জন্য খুনিদের ধরতে ইন্টারপোলের সহায়তা নিচ্ছে মালয়েশিয়া। ওদিকে নিহতের পরিবার থেকে বলা হয়েছে, বাতশাকে কে হত্যা করেছে সে সম্পর্কে তাদের কোনই সন্দেহ নেই। হামাসের মাধ্যমে প্রকাশ করা এক বিবৃতিতে তারা বলেছেন, এই হত্যাকা-ের জন্য আমরা মোসাদকে দায়ী করবো। তিনি জ্বালানি খাতে গবেষণাকারী একটি বিজ্ঞানী ছিলেন। ওদিকে কুয়ালালামপুরের পুলিশ প্রধান মাজলান লাজিম বলেছেন, সন্দেহভাজন দু’জন হামলাকারী ঘটনাস্থলে পৌঁছে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন মোটরসাইকেলে। এরপর তাদের একজান ১০টি গুলি করে। এর মধ্যে চারটি গুলি ওই লেকচারারের মাথায় ও শরীরে লাগে। তিনি ঘটনাস্থলেই মারা যান। তিনি আরো বলেন, মোহাম্মদ আল বাতশাকে আগে থেকেই টার্গেট করা হয়েছিল। কারণ, ঘটনার কিছুক্ষণ একই স্থান দিয়ে অন্য দু’জন মানুষ হেঁটে গিয়েছেন। তাদেরকে আঘাত করে নি হামলাকারীরা। তাই ওই এলাকার সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করা হচ্ছে। অতীতেও ফিলিস্তিনি যোদ্ধা ও বিজ্ঞানীদের হত্যা করেছে মোসাদ এমনটা বিশ্বাস করা হয়। কিন্তু এমন অপারেশনের বিষয়ে কখনো শতভাগ নিশ্চিত করে বলা হয় নি। ২০১৬ সালে তিউনিশিয়ায় ড্রোন বিশেষজ্ঞ মোহাম্মদ জৌউরকে হত্যার জন্য অভিযুক্ত করা হয় মোসাদকে। এ ছাড়া দুবাইয়ের একটি হোটেলে ২০১০ সালে হত্যা করা হয় হামাস যোদ্ধা মাহমুদ আল মাবহুহকে। তিনি ছিলেন হামাসের শীর্ষ নেতা। এ জন্যও মোসাদকে দায়ী করা হয়। তবে এসব বিষয়ে মন্তব্য করতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে ইসরাইলি কর্মকর্তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর