উল্লাপাড়ার মোহনপুর-উধুনিয়া আঞ্চলিক সড়কটির এখন বেহাল অবস্থা। সড়কের উপরের কার্পেটিং অনেক আগেই উঠে গেছে। মাঝে সৃষ্টি হয়েছে ছোট বড় অসংখ্য গর্ত। উধুনিয়া বাজারের আগে রাস্তার অনেক অংশ পাশের বিলে ধসে গেছে। এই পথে এখন যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা মানুষের পায়ে হেঁটে চলাও দায়। স্থানীয় লোকজন কয়েক বছর ধরে রাস্তাটি সংস্কারের আবেদন করলেও তা আমলে নেয়নি কেউ। ফলে এলাকার মানুষের দুর্ভোগ এখন চরমে। স্থানীয়রা অভিযোগ করেন, সড়ক ও জনপথ বিভাগের ঢাকা-পাবনা মহাসড়কে শাহজাদপুর উপজেলার গাড়াদহ থেকে পাবনা জেলার ভাঙ্গুড়া উপজেলার ময়দান দীঘি পর্যন্ত আঞ্চলিক এই সড়কের দূরত্ব ২১ কিলোমিটার।
এর মোহনপুর থেকে উধুনিয়া পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার অংশ বহু দিন থেকেই সংস্কার করা হয় না। স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ থেকে মাঝে মধ্যে মাটি ভরাট করলেও বর্ষা মৌসুমে চলনবিলের ঢেউয়ের আঘাতে সবই ধুয়ে মুছে যায়। ফলে রাস্তাটির বেহালদশার আর কোনো পরিবর্তন হয়নি। ঝুঁকি নিয়ে ২-১টি সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও ব্যাটারিচালিত অটোভ্যান যাত্রী পরিবহনের চেষ্টা করলেও বারংবার তাদেরকে দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এতে যানবাহনের মালিকেরা এই পথে কেউই যেতে চান না। অথচ উল্লাপাড়ার মোহনপুর বাজার একটি প্রতিষ্ঠিত ব্যবসা কেন্দ্র। এছাড়া এই সড়কের পাশে রয়েছে বাগমারা ডিগ্রি কলেজ, বাগমারা হাইস্কুল, উধুনিয়া উপ-স্বাস্থ্য কেন্দ্র, ইউনিয়ন ভূমি অফিস, উধুনিয়া হাইস্কুল, মাদরাসা, দীঘলগ্রাম আলিম মাদরাসাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও হাটবাজার। ফলে উধুনিয়া এলাকার শত শত নারী পুরুষ এবং শিক্ষার্থীদের প্রতিদিন এই পথে চলাচল করতে হয়। যানবাহন চলাচল না করায় নিরুপায় হয়ে লোকজন পায়ে হেঁটেই যাতায়াত করে। বিশেষ করে শিশু ও বৃদ্ধ লোকজনের জন্য এই পথে পায়ে চলা দুরূহ ও কষ্টকর।
এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের উল্লাপাড়া উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী জহুরুল আলমের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তিনি মোহনপুর উধুনিয়া সড়কের বেহাল অবস্থার কথা স্বীকার করে বলেন, তার দপ্তর থেকে আপাতত ৭ কিলোমিটার খারাপ অংশের ৩ কিলোমিটার সংস্কারের জন্য ২৫ লাখ টাকার একটি প্রকল্প তৈরি করে ঢাকায় প্রধান অফিসে পাঠানো হয়েছে। অবশিষ্ট অংশের পরিমাপ করা হচ্ছে। নতুন প্রকল্প তৈরি করে দ্রুত পাঠানোর চেষ্টা করা হচ্ছে। টাকা পেলে রাস্তা সংস্কার কাজ শুরু হবে।