× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘পাকিস্তানে গণতন্ত্র নয়, চলছে জঘন্য স্বৈরতন্ত্র’

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৫ বছর আগে) এপ্রিল ২৪, ২০১৮, মঙ্গলবার, ৮:৪৭ পূর্বাহ্ন

পাকিস্তানের প্রধান বিচারপতির সামপ্রতিক কার্যক্রম এমন ইঙ্গিত দেয় যে, পাকিস্তানজুড়ে সামরিক শাসনের চেয়েও জঘন্যতর শাসনব্যবস্থা জারি করা হয়েছে। সোমবার এমন মন্তব্য করেছেন দেশটির অভিশংসিত সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ। রাজধানী ইসলামাবাদে জবাবদিহিতা আদালতের ভেতরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি দাবি করেন, সেদেশে যা চলছে তা গণতন্ত্র নয়। তা হচ্ছে প্রধান বিচারপতি সাকিব নিসারের অধীনে জঘন্যতম স্বৈরতন্ত্র। এ খবর দিয়েছে স্থানীয় প্রভাবশালী পত্রিকা দ্য ডন।

খবরে বলা হয়, রোববার লন্ডন থেকে দেশে ফিরেছেন নওয়াজ শরীফ। সেখানে তার ক্যানসার আক্রান্ত অসুস্থ স্ত্রী, কুলসুম নওয়াজকে দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। তিনি বলেন, দেশে যা চলছে তা কোনোভাবে বিচার বিভাগীয় সামরিক শাসনের চেয়ে কম নয়। আদালতের সামপ্রতিক রায়গুলোকে অযৌক্তিক বলে সমালোচনা করে শরীফ বলেন, পাকিস্তানের ২২ কোটি মানুষকে এভাবে নীরব করে দেয়া তার কাছে অগ্রহণযোগ্য।
তিনি বলেন, আজকে আমরা যেসব নিষেধাজ্ঞা দেখছি সেসব নিষেধাজ্ঞা আমরা সামরিক শাসনের আমলেও দেখেনি। সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী দাবি করেন, জবাবদিহিতা আদালতে চলমান মামলায় তাকে দুর্নীতিগ্রস্ত প্রমাণ করতে জোর প্রচেষ্টা চালানো হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট বেঞ্চের দিকে ইঙ্গিত করে তিনি আরো দাবি করেন, পাঁচ বিচারপতিকে সফল করে তোলার জন্যই এমন চেষ্টা চালানো হচ্ছে। উল্লেখ্য, এই বেঞ্চই তাকে পানামা পেপারস মামলায় অযোগ্য ঘোষণা করেছে। এরপর পুনরায় প্রধান বিচারপতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, বিচারপতি নিসার নিয়মিতভাবে হাসপাতাল পরিদর্শন করেন, সবজির মূল্য নিয়ে কথা বলেন। কিন্তু তার উচিত, একজন নিপীড়িত ব্যক্তির বাড়িতেও যাওয়া। ২০ বছরেও যে ব্যক্তির মামলার নিষপত্তি ঘটেনি। প্রধান বিচারপতিকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে তলব করে সরকারকে লাইনে দাঁড় করিয়ে রাখা আপনার দায়িত্ব নয়। সুপ্রিম কোর্ট, তাদের ২০১৮ সালের এজেন্ডা অনুসারে, মানবাধিকার ইস্যুর দিকেই বেশি মনোনিবেশ করেছে। বিশেষ করে জনগণের গুণগত মানসমপন্ন শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করার দিকে নজর দিয়েছে। তবে আদালতটির এরকম কার্যক্রমকে অনেকে সীমা অতিক্রম করা হিসেবেও দেখছেন। অনেকটা সাবেক প্রধান বিচারপতি ইফতেখার চৌধুরীর সময়ের মতন।                 



অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর